পটনা: রাতের অন্ধকারে আলমগীরকে গোয়ালঘরে মোষের গলা থেকে দড়ি খুলতে দেখেছিল এক স্থানীয় বাসিন্দা। এইটুকু দেখেই ধরে নেওয়া হল, চুরি করতেই এসেছিল সে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল ক্ষিপ্ত জনতার বেধড়ক মার। কেবল সন্দেহের বশেই জনতার মারে প্রাণ হারাতে হল মহম্মদ আলমগীর (৩২)-কে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পটনায় (Patna)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বুধবার ভোর রাতে পটনার ফুলওয়ারিশরিফ (Phulwarisharif)-র বাসিন্দা মহম্মদ আলমগীর (Muhammad Alamgir)- কে গোয়ালঘরে দেখেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। একটি মোষের গলার দড়ি খুলতে দেখেই সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজনদের চিৎকার করে ডেকে আনেন তিনি। লোকজন জড়ো হতেই আলমগীরের সঙ্গে উপস্থিত আরেক সঙ্গী পালিয়ে যায়। কিন্তু ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে পালাতে পারেননি আলমগীর।
আরও পড়ুন: মমতার পাশে কেজরীবাল, আইপিএস তলবকাণ্ডে নিশানায় কেন্দ্র
গরু চোর সন্দেহে রাত তিনটে থেকে লাগাতার কয়েকঘণ্টা তাঁকে মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা (Mob Lynching)। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে আলমগীরকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই দুপুরে মারা যান তিনি।
স্থানীয় পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত ছয়জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
চলতি বছরেই এপ্রিল মাসে মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালককে বাচ্চা চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা। সেই মামলাতে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে না পারায় অধিকাংশ অভিযুক্তদেরই জামিন দেওয়া হয়েছে। পালঘরের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার গণপিটুনীর ঘটনা সমানে এল।
আরও পড়ুন: কৃষকদের মন গলানোর চেষ্টা, আট পাতার চিঠি প্রকাশ কেন্দ্রের