AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

100 days Work: ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা, হাত বাড়িয়ে সবে টাকা নেবে, খপ করে ধরল আধিকারিক! ১০০ দিনের কাজের টাকা নিতে গিয়ে যা হল…

Fraud: হঠাৎ সরকারি আধিকারিক লক্ষ্য করেন, শ্রমিকের হিসাব তো মিলছে না। সামনেই তখন মহিলাদের লম্বা লাইন। টাকা নেওয়ার জন্য একজন হাত বাড়াতেই নজর পড়ল, এ তো মহিলার হাত নয়। যা সন্দেহ হয়েছিল, তাই-ই।

100 days Work: ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা, হাত বাড়িয়ে সবে টাকা নেবে, খপ করে ধরল আধিকারিক! ১০০ দিনের কাজের টাকা নিতে গিয়ে যা হল...
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Meta AI
| Updated on: Apr 12, 2025 | 5:10 PM
Share

বেঙ্গালুরু: ১০০ দিনের কাজ করেছেন, এসেছেন টাকা নিতে। পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা লাইন। হঠাৎ সরকারি আধিকারিক লক্ষ্য করেন, শ্রমিকের হিসাব তো মিলছে না। সামনেই তখন মহিলাদের লম্বা লাইন। টাকা নেওয়ার জন্য একজন হাত বাড়াতেই নজর পড়ল, এ তো মহিলার হাত নয়। যা সন্দেহ হয়েছিল, তাই-ই। মহিলা সেজে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিতে হাজির পুরুষরা। শাড়ি পরে, মহিলা সেজে তারা টাকা নিচ্ছিলেন!

মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট বা মনরেগা (MGNREGA)-র অধীনে কর্নাটকের ইয়াদগির জেলায় ডিস্টিলিংয়ের কাজ হচ্ছিল। কাজ হয়ে গেলেও, টাকা বন্টনের সময় গন্ডগোল বাধে। আধিকারিকরা দেখেন, পুরুষরা শাড়ি পরে, মহিলা সেজে টাকা নিচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। মহিলারা, যারা ১০০ দিনের কাজ করেছেন, তারাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য।

জানা গিয়েছে, মালদার গ্রামে কাজ হচ্ছিল। তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল এই প্রকল্পের জন্য। শ্রমিকদের হিসাব করতে গিয়ে দেখা যায়, ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলার কাজ করার কথা। কিন্তু মহিলাদের জায়গায় পুরুষরাই শাড়ি পরে, মহিলা সেজে টাকা নিচ্ছিল। একজনের হাত দেখেই আধিকারিকরা ধরেন। তারপর দেখা যায়, একজন নয়, এভাবে একাধিক পুরুষ টাকা নিচ্ছে, যার আদৌ কাজই করেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল এই ছবি।

জেলা পঞ্চায়েতের চিফ এগজেকিউটিভ অফিসার লাভেশ ওরাদিয়া এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের হিসাব মিলছিল না। এরপরই পুরুষদের মহিলা সেজে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।

জানা গিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক একজন টেকনিশিয়ানই গোটা দুর্নীতির ফাঁদ সাজিয়েছিলেন। তিনিই কয়েকজনকে মহিলা সাজিয়ে পাঠিয়েছিলেন টাকা নেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে টাকা বন্টন।

তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং সফ্টওয়্যার অ্যাপ, যেখানে অ্যাডেনটেন্সের হিসাব রাখা হয়, সেখানেও ভুয়ো ছবি আপলোড করা হয়েছে মহিলাদের নামে টাকা নেওয়ার জন্য।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় মহিলারা, যারা শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন, তারাও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাদের শ্রমের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ দেখান তারা।