‘করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী পরিযায়ীরা’, উদ্ধবকে কটাক্ষ করে দাবি রাজ ঠাকরের
কডাউনের সময় গ্রাহকদের কারেন্টের বিল কমানোর দাবিও করেন রাজ ঠাকরে। তিনি বলেন, "শিল্পোৎপাদন বন্ধ, অফিস বন্ধ, মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে মানুষ কী করে কারেন্টের বিল জমা দেবে?"
মুম্বই: মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর দায় চাপালেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর। তাঁর দাবি রাজ্য করোনা বিধ্বস্ত হওয়ার পিছনে দায়ী পরিযায়ীরা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার পর রাজ ঠাকরে সাংবাদিকদের বলেন, “গত বছর লকডাউনের সময় যেসব পরিযায়ীরা মুম্বই ছেড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের আমি করোনা পরীক্ষা করাতে বলেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। তার কারণ হিসেবে রাজ ঠাকরে জানান, যেহেতু মহারাষ্ট্র একটি ব্যবসায়িক রাজ্য তাই সেখানে বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা আসেন। তাঁদের অনেকেরই করোনা পরীক্ষা হয়নি। তাই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে রাজ ঠাকরে খেলোয়াড়দের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জিম ব্যবহার করার নির্দেশ দিতে আর্জি জানান।
মহারাষ্ট্রে সোমবার রাত থেকেই নতুন করে শুরু হয়েছে নৈশ কার্ফু। সে বিষয়ে নবনির্মাণ সেনার প্রেসিডেন্ট বলেন, “এই সময় অন্তত ২-৩ দিন দোকান যেন খোলা রাখা হয়।” যদিও উদ্ধব ঠাকরের সরকার অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান, ওষুধের দোকান ছাড়া শপিং মল ও বাজারগুলিকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সরকার জানিয়েছে, এই আংশিক লকডাউনের সময় কারখানায় উৎপাদন হলেও দোকান খোলা থাকবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে রাজ ঠাকরে বলেন, “সরকার উৎপাদন চালিয়ে যেতে বলেছে কিন্তু দোকান খোলা রাখা যাবে না। যদি দোকান খোলা না থাকে তাহলে কারখানায় উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার কী যুক্তি?”
লকডাউনের সময় গ্রাহকদের কারেন্টের বিল কমানোর দাবিও করেন রাজ ঠাকরে। তিনি বলেন, “শিল্পোৎপাদন বন্ধ, অফিস বন্ধ, মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে মানুষ কী করে কারেন্টের বিল জমা দেবে?” পাশাপাশি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক পড়ুয়াকে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: আর মাত্র ৩ দিন, তারপর মিলবে না করোনা টিকা! ভয়াবহ সঙ্কটে মহারাষ্ট্র