Delimitation Row: রুখে দেওয়া হোক আসন পুনর্বিন্যাস! ডিলিমিটেশনের সামনে স্ট্যালিনদের হাতিয়ার ‘ইতিহাস’
Delimitation Row: তবে দক্ষিণে ডিলিমিটেশন বা সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস এখন যেন একটা জ্বলন্ত ইস্যু। আর সেই আগুনকে থামাতে ও দক্ষিণকে 'বৈষম্য' থেকে মুক্ত করতে, এমনকি ডিলিমিটেশন রুখতে হয়ে গেল এই বৈঠক।

চেন্নাই: এর আগেও প্রায় একাধিকবার বিতর্কের জেরে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল সংসদের ‘ডিলিমিটেশন’। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে সেই ‘বিতর্কিত’ ডিলিমিটেশন পদ্ধতি নিয়ে মোদী সরকার আসরে নামতেই সুর চড়িয়েছিল দক্ষিণী রাজনীতিকরা। আর বারংবার সেই পারদকে এক ধাপ, এক ধাপ করে চড়তে ‘মদত’ জুগিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
এবার স্ট্যালিনের সেই আন্দোলনই পেল নতুন মাইলেজ। শনিবার চেন্নাইয়ে হয়ে গেল ডিলিমিটেশন-বিরোধী দক্ষিণী গোষ্ঠীর একটি আলোচনা সভা। সেই আলোচনা সভা বা ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবারই তামিলনাড়ুতে হাজির হয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তেলেঙ্গানার কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। এছাড়াও, এই বৈঠকে এসেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। জল্পনা উড়েছিল, এই বৈঠকে হাজির হতে পারেন পবন কল্যাণের দলের এক সাংসদও। কিন্তু তা হয়নি।
তবে দক্ষিণে ডিলিমিটেশন বা সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস এখন যেন একটা জ্বলন্ত ইস্যু। আর সেই আগুনকে থামাতে ও দক্ষিণকে ‘বৈষম্য’ থেকে মুক্ত করতে, এমনকি ডিলিমিটেশন রুখতে হয়ে গেল এই বৈঠক।
কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে?
জনসংখ্যাকে হাতিয়ার করেই জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির বৈঠকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিলিমিটেশন-কে আরও ২৫ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন। কমিটির যৌথ প্রস্তাব, যেখানে দক্ষিণের রাজ্যগুলি তাদের জনসংখ্যার হারকে এতটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, সেই ভিত্তিতে শুধুমাত্র জনসংখ্য়ার নিরিখে সংসদে আসন পুনর্বিন্যাস আসলেই বৈষম্যমূলক।
তাদের আরও দাবি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কারণে, রাজ্য়ের জনহার পড়েছে। তাই বলে, ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে এমন শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। আর এই ডিলিমিটেশনকে আগামী ২৫ বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া উচিত। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও জানায় কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ইন্দিরা গান্ধীর সময়কালে কিছু রাজ্য়ের জনসংখ্য়া কম থাকার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া। মূলত, জনসংখ্যা কম থাকার কারণে সংসদে আসন কমে যাচ্ছিল কিছু রাজ্যের সেই কারণে নেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত। আজ আবার কমিটির মুখে উঠে এল সেই ইতিহাসের কথাই।





