Sukhvinder Singh Sukhu: ছেলে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী, শপথে এসে আবেগপ্রবণ সুখবিন্দরের মা
Sukhvinder Singh Sukhu: আজ হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন সুখবিন্দর সিং সুখু। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁর মা।
সিমলা: সাধারণ পরিবারে বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। বাবা পেশায় ছিলেন বাস চালক। আর রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকে। চারবারের বিধায়ক। বর্তমানে তিনিই হিমাচল প্রদেশের সরকারের প্রধান। রবিবার সিমলায় রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। শপথ গ্রহণের আগে তিনি নিজের ভাবপ্রকাশ করেছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি মায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, ‘মায়ের আশীর্বাদেই এতদূর এসেছি। মা কখনও আমাকে রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রে আটকাননি।’ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করার আগে তিনি সঞ্জৌলি হেলিপ্যাডে নিজের মাকে নিতেও যান। সেই মুহূর্তে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁর মা সানসার দেবী।
ছেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন, এই ভেবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সুখবিন্দর সিং সুখুর মা। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী, সানসার দেবী বলেছেন, ‘ও সেবাদার (গুরুদ্বারে যাঁরা গোটা সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন) ছিল। ও এখন রাজ্য়ের মানুষের জন্য কাজ করবে।’ এদিকে সুখবিন্দর সুখুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী কমলেশ কুমারী ও দুই মেয়ে। তিনি এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিজের পরিবারের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন।
গত ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজেপিকে হারিয়ে সেখানে জয় হয়েছে ‘হাতের’। ৬৮ টি আসন সমন্বিত হিমাচল বিধানসভায় ৪০ টি আসন জিতেছে কংগ্রেস। আর বিজেপির ঘরে গিয়েছে ২৫ টি আসন। তবে দুই দলের মধ্যেই ভোটের পার্থক্য মাত্র ১ শতাংশেরও কম। আর দীর্ঘ বৈঠকের পর গতকাল রাতে কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত হয়। আর আজ বেলা ১:৩০ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি শপথ গ্রহণের আগে বলেছিলেন, ‘আমি খুব খুশি, একটি সাধারণ পরিবারের মানুষ হয়েও আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছি। কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমার মা আমাকে রাজনীতিতে আসার জন্য কোনওদিন আটকায়নি। তাঁর আশীর্বাদেই আমি এতদূর পৌঁছেছি।’