MP High Court: মন্দিরে ধর্ম পরিবর্তন! ‘সিরিয়ায় বিষয়’ বলে আর্য সমাজকে নোটিস দিল হাইকোর্ট
Arya Samaj: হিনা নামে ওই মহিলার বিয়েতে সম্মতি ছিল না পরিবারের। পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তিনি।
মধ্য প্রদেশ : মন্দিরে এক মুসলিম মহিলার ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই ঘটনা শুনানিতে উঠে আসতেই আর্য সমাজকে নোটিস দিল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। মন্দিরের পুরোহিতকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে বিচারপতি রোহিত আর্য ও বিচারপতি রাজীব কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে চলছে একটি মামলার শুনানি। হিনা নামে এই মহিলা শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইলেও তাঁকে পুলিশি ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে বলে আবেদনে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী। সেই মামলারই শুনানি চলছে আদালতে।
ঠিক কী ঘটেছিল
আবেদনকারীর নাম রাহুল ওরফে গোলু। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী হিনাকে মধ্য প্রদেশের মোরেনায় পুলিশি ঘেরাটোপে ‘নারী সুধার গৃহে’ রাখা হয়েছে। তাঁকে ওই ঘেরাটোপ থেকে যাতে মুক্ত করা হয়, সেই আর্জিই আদালতে জানিয়েছেন রাহুল। রাহুল হিন্দু পরিবারের ও হিনা মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলেও বিয়েতে মত ছিল না হিনার পরিবারের। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাহুলকে বিয়ে করেন হিনা। বিয়ের সময় হিনা নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর স্বামী। আর্য সমাজের একটি মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়।
হিনার ধর্ম পরিবর্তনের প্রমাণ স্বরূপ রাহুল আদালতে একটি শংসাপত্র পেশ করেন রাহুল, যা গাজিয়াবাদের আর্য সমাজ সম্মেলন ট্রাস্টের দেওয়া। ২০১৯-এর ১৭ সেপ্টেম্বর সেই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল।
স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান হিনা
এ দিকে হিনা বাড়ি থেকে পালানোর পর তাঁর নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। সেই সূত্রে হিনার কাছে পৌঁছয় পুলিশ। মামলা গড়ায় আদালতে। পরে পুলিশের সামনে বয়ান দিতে গিয়ে হিনা সাফ জানান, তিনি তাঁর স্বামী রাহুল ও তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান। রাহুল আদালতে জানিয়েছেন, হিনার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে পুলিশ নিয়ে গিয়ে নারী সুধার গৃহে পাঠিয়ে দিয়েছে। ২০২১-এর অগস্ট থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। বিয়ের সময় হিনা প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন বলেও জানিয়ছেন রাহুল। তিনি চান, তাঁর স্ত্রীকে যাতে অবিলম্বে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাজিরার নির্দেশ পুরোহিতকে
গত ১০ জানুয়ারি আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, আর্য সমাজকে এই মামলার পার্টি করতে হবে। পরে ১৮ জানুয়ারি সেই আবদেন তুলে নিতে চান তিনি। এরপর অতিরিক্ত অ্য়াডভোকেট জেনারেল আদালতে উল্লেখ করেন, ‘আর্য সমাজ বিবাহ মন্দির ট্রাস্ট’ হিনা খান নামে এক মুসলিম মহিলার ধর্ম পরিবর্তন করেছে। তাঁর দাবি, এই কাজ মন্দিরে করা যায় না। তাই তাঁর আর্জি ছিল আর্য সমাজকে এই মামলার পার্টি করার আবেদন তোলা যাবে না ও আদালতকে স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস জারি করতে হবে।
এরপরই আর্য সমাজকে নোটিস দেয় আদালত। এই ঘটনাকে সিরিয়াস বিষয় বলে উল্লেখ করেছে আদালত। নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরের পুরোহিতকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
আরও পড়ুন : Himanta on Modi: ‘একজন মোদীর পক্ষে দেশ বদলানো সম্ভব নয়’, কেন এমন মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী?