Himanta on Modi: ‘একজন মোদীর পক্ষে দেশ বদলানো সম্ভব নয়’, কেন এমন মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী?
Himanta Biswa Sarma: শুক্রবার শিলচর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান থেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়
শিলচর: তিনি দেশের অভিভাবক। বিজেপি নেতাকর্মীদের দাবি তাঁর শাসনকালে দেশ অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। তিনি হাত দিলেই সব সোনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপিতে মোদীর বিকল্প কল্পনারও অতীত। তবে মোদীকে নিয়ে খানিকটা ভিন্ন মত পোষণ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, তবে দিনের শেষে তিনি একা। একজন মোদী দেশকে সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলতে পারবেন না। মোদীর মতো আরও অনেক পথিকৃৎকে দেশের প্রয়োজন। তবেই ভারত বিশ্বসেরা হবে।” বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শুক্রবার শিলচর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই কথাই বলতে শোনা যায় হিমন্তকে।
শুক্রবার শিলচর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান থেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি মনে করে স্বাধীনতার এত বছর পরেও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পশ্চিমী দেশগুলি থেকে অনুপ্রাণিত, ফলে দেশের ছাত্রছাত্রীরা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, “আমার পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন সভ্যতা… কিন্তু স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশ পশ্চিমী সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছে। পশ্চিমের দেশগুলির মতো আমাদের সমাজও ছোট ছেলেমেয়েদের স্বার্থপরতা শেখাচ্ছে। শিক্ষা শেষ হওয়ার পর ক্রমশই সুযোগ সন্ধানী হয়ে পড়ছেন তাঁরা।”
“ভারতের প্রাচীন গুরুকুল প্রথায় শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত ছিল। ওই ব্যবস্থাতে ছাত্রছাত্রীদের উন্নত চরিত্র তৈরি হত। শিক্ষা শেষ করে তাঁরা অনেক উন্নততর মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। আমাদের সেই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এই আদর্শেই অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন শিক্ষানীতি আনছেন।” বলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগপতি হিসেবে কাজ করে অসমকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। “সাধারণ প্রয়োজনেও অসমকে অন্যরাজ্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়।আমরা যা ব্যবহার করি তার চেয়ে বেশি রপ্তানি না করলে অসম, গুজরাট ও রাজস্থানের মতো শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হতে পারবে না।” বলেন হিমন্ত। এদিনের অনুষ্ঠানে শিলচর বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারের তরফে ২৫ কোটি অনুদান ঘোষণা করেন হিমন্ত।