Doctor’s Suicide Note: হুমকি দিয়েছিলেন সাংসদও! চিকিৎসকের সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে বিস্ফোরক সব অভিযোগ
Doctor's Death: চিকিৎসকের আত্মীয়ও একই অভিযোগের কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁর দাবি, ওই চিকিৎসক বেশ কয়েকবার এমন অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন। এমনকী পুলিশ সুপার ও ডেপুটি পুলিশ সুপারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি!

সাতারা: এক মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তাঁর লেখা চার পাতার সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব অভিযোগ। চারবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। পুলিশ অফিসারের নাম রয়েছে সেই নোটে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক নেতা তথা সাংসদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সামনে আসছে।
মহারাষ্ট্রের সাতারার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। সুইসাইড নোটে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ওই পুলিশ অফিসার তাঁকে একটি ভুয়ো ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। একজন নয়, একাধিক পুলিশ অফিসার শারীরিক পরীক্ষা না দিয়েই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি না মানতে চাইলে, তাঁকে দিনের পর দিন চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শুধুমাত্র পুলিশ নয়, এক সাংসদ ও তাঁর দুই পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টও তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংসদের ওই দুই সহকারীকে সার্টিফিকেট দিয়ে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। এরপর হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন ওই দুজন। সেখান থেকেই তাঁরা সাংসদকে ফোন করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। ফোনেই সাংসদ তাঁকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
চিকিৎসকের আত্মীয়ও একই অভিযোগের কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁর দাবি, ওই চিকিৎসক বেশ কয়েকবার এমন অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন। এমনকী পুলিশ সুপার ও ডেপুটি পুলিশ সুপারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মৃতার আত্মীয়ের। নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথা জানিয়ে এসপি-কে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি, সে কথাও লেখা আছে ওই চার পাতার সুইসাইড নোটে।
আপাতত পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন চিকিৎসকের মৃত্যুর পর যে নোট পাওয়া যায়, তাতে লেখা, ৫ মাসে তাঁকে ৪ বার ধর্ষণ করেছেন পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর। ওই পুলিশ অফিসারের লাগাতার হেনস্থাতেই তিনি মৃত্যুর পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন ওই চিকিৎসক।
