Chief Election Commissioner: কে হবেন পরবর্তী ইলেকশন কমিশনার? রাহুলের অপেক্ষা না করেই সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী
Chief Election Commissioner: কারণ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। সেখানেই নতুন শীর্ষকতার নিয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আবেদন করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।

দিল্লি: মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক ‘নাটক’ কার্যত চরমে উঠল সোমবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছিল এদিন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ। কারণ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। সেখানেই নতুন শীর্ষকতার নিয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আবেদন করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কারণ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
রাহুল গান্ধী বিরোধিতা করলেও সরকারপক্ষ অবশ্য তাতে খুব একটা আমল দেয়নি। কারণ নির্বাচনী পরিকাঠামোর শীর্ষ পদে শূন্যস্থান রাখা নিয়ে দুপক্ষ সহমতে আসতে পারেনি। বরং সরকার পক্ষের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলেনি।
এদিনের বৈঠকের পর মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সই করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস জানায়, সুপ্রিম কোর্ট ২২ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শুনানি করার কথা আগেই জানিয়েছে। তাই তারা চেয়েছিলেন বৈঠক স্থগিত রাখা হোক। শুধু তাই নয়, দেশের প্রধান বিরোধী দল শাসক বিজেপিকে নিশানা করে জানায়, “অহংকার সঙ্গে করে আমরা কাজ করতে পারি না। বৈঠক স্থগিত রাখা উচিত ছিল যাতে সুপ্রিম কোর্ট চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু শাসক দল চায় নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে। কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র ভাবিত নয়।”
বস্তুত,প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করেন। নির্বাচন কমিশনের কাঠামো অনুযায়ী মোট তিনজন কমিশনার থাকেন। এর মধ্যে একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হন। মনে করা হচ্ছে, রাজীব কুমারের উত্তরসূরী হিসাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারে বসতে চলেছেন জ্ঞানেশ কুমার। এই বছর, ২০২৩ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ হওয়ার কথা।
কী বলছে আইন? আইনমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি পাঁচজনের নাম নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সুপারিশ করেন। কে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হবেন, তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আগে এই কমিটিতে প্রধান বিচারপতি থাকতেন। ২০২৩ সালে নতুন আইন অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতিকে বাদ নিয়ে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এই কমিটির সদস্য করা হয়। বিরোধীদের দাবি, প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই কমিটির সদস্য হওয়ায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা।





