Nawab Malik: হাসিনা পার্কারকে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নবাব মালিক, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডি-র হাতে
Nawab Malik: বুধবার ৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর ইডি গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP) নেতা নবাব মালিককে।
মুম্বই : বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে আগেই। তাঁকে দাউদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন নবাব মালিক। আর তদন্তে ইডির আধিকারিকদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত ডিল হয়েছিল তাঁর। নবাবে হাওয়ালা যোগের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
ইডি সূত্রে দাবি, জেরায় তদন্তে কোনও সাহায্য করেননি নবাব মালিক। এমনকি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও নাকি দিতে চাননি তিনি। তাই এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে কার্যত তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নবাবের বেশ কিছু লেনদেন থেকে মনে করা হচ্ছে হাওয়ালা যোগ ছিল তাঁর। শুধু তাই নয়, দাউদ ইব্রাহিম এবং তাঁর ভাই ইকবাল কাসকারের সঙ্গে নবাবের যোগযোগের প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
নবাবের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে, দাউদের প্রয়াত বোন হাসিনা পারকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দাউদের বোন হাসিনা পারকারকে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নবাব মালিক। অবৈধ ভাবে একটি জমি নেওয়ার জন্যে ৫৫ লক্ষ টাকার ডিল হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ওই জমি ছিল মুনিরা প্লামবারের। অভিযোগ, হাসিনা পারকারকে টাকা দেওয়ার অর্থ দাউদের ডি কোম্পানিকে সাহায্য করা।
মুনিরা প্লামবার ও তাঁর মা জমির দেখাশোনা করতে পারতেন না, তাঁরা জমির কাছে যেতেও পারতেন না। আর সেই সুযোগটাই নাকি নিয়েছিলেন নবাব মালিক ও হাসিনা পারকার। তাঁরাই অবৈধভাবে ওই জমির দখল নিয়েছিলেন। বর্তমানে ওই জমির দাম ৩০০ কোটি টাকা। আর সেই জমির জন্য মালিক দিয়েছিলেন মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। তার একটা টাকাও পাননি মুনিরা প্লামবার ও তাঁর মা।
আরও পড়ুন : Nawab Malik: ‘মাথা নত করব না’, বিজেপির দাবিকে নসাৎ করে নবাবের ‘গদি’ রক্ষারই সিদ্ধান্ত এনসিপির