Nawab Malik-Sameer Wankhede: ‘উনি কি আইনেরও উর্ধ্বে?’, নবাব মালিকের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ দায়ের ওয়াংখেড়ের স্ত্রীরও
Sameer Wankhede's Wife Files Complain Against Nawab Malik: নবাব মালিককে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, "এই চ্যাটগুলি পুরোটাই বানানো। তথ্য় যাচাই না করেই পোস্ট করেন। মুম্বই সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ জানাচ্ছি। সমর্থকরা চিন্তা করবেন না, আমরা এই ভাষাতে কথা বলি না বা এটা আমাদের সংস্কৃতিও নয়।"
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক(Nawab Malik)-র বিরুদ্ধে এ বার অভিযোগ জানালেন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে(Sameer Wankhede)-র স্ত্রী ক্রান্তি রেডকার(Kranti Redkar)-ও। মুম্বইয়ের প্রমোদতরী থেকে মাদক উদ্ধারের (Mumbai Cruise Drug Case) ঘটনাই নানা মোড় নিয়ে বর্তমানে এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে বনাম এনসিপি নেতা নবাব মালিকের লড়াইয়ে উপনীত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো চ্যাট প্রকাশের অভিযোগে এবার সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রীও নবাব মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন।
সম্প্রতিই নবাব মালিক একাধিক স্ক্রিনশট পোস্ট করেন, যেখানে ক্রান্তি রেডকরের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর সঙ্গে বার্তালাপ হওয়ার দাবি করেন। নবাব মালিকের ওই স্ক্রিনশটগুলি পোস্ট করার পরই ক্রান্তি রেডকর টুইটে দাবি করেন, এই চ্যাটগুলি সব মিথ্যা এবং পুরোটাই বানানো। তিনি দাবি করেন, এই ধরনের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কখনও কথাবার্তা বলেননি। ফের একবার তথ্য যাচাই না করেই পোস্ট করার জন্য তিনি মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ দায়ের করছেন বলেও জানান।
নবাব মালিককে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “এই চ্যাটগুলি পুরোটাই বানানো। তথ্য় যাচাই না করেই পোস্ট করেন। মুম্বই সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ জানাচ্ছি। সমর্থকরা চিন্তা করবেন না, আমরা এই ভাষাতে কথা বলি না বা এটা আমাদের সংস্কৃতিও নয়।”
These chats are falsely created and utterly FAKE. I have had no such conversations with anyone EVER. Once again the posts made without verifying. Lodging a complaint MUMBAI CYBER CRIME CELL. Don’t worry supporters this is not our culture or our language too. pic.twitter.com/LL4SS3iaG9
— Kranti Redkar Wankhede (@KrantiRedkar) November 23, 2021
এরপরই টুইট যুদ্ধ শুরু হয় নবাব মালিকের সঙ্গে। ক্রান্তি রেডকর অভিযোগ আনেন যে, নবাব মালিক ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্যই গোটা ওয়াংখেড়ে পরিবারকে নিশানা করা হচ্ছে। মঙ্গলবারই সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রী একটি বিবৃতি পেশ করে বলেন, “টুইটারে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এই ধরনের সম্মানজনক পদে বসেও কেউ এমন তথ্য পোস্ট করেন, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। নিছক মজার জন্য ভুয়ো চ্যাট পোস্ট করা হল। আমি যতদূর জানতাম মন্ত্রীরা সাধারণ মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করেন, তারা জনতার প্রতি সহানুভূতিশীল হন, কিন্তু এই মন্ত্রী তো ব্যক্তিগত ক্ষোবের কারণে একটি পরিবারের সম্মানহানি করতেই ব্যস্ত।”
সম্প্রতিই বম্বে হাইকোর্টের তরফেও নবাব মালিককে টুইটারে কেবল সত্য়নিষ্ঠ পোস্ট করা নিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেও ক্রান্তি রেডকর বলেন, “হাইকোর্টের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও তিনি ফের সত্য যাচাই না করেই পোস্ট করছেন। উনি কী আইনের উর্ধ্বে? ওনার কাজকর্ম দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। জনতার কাছে এটাও স্পষ্ট যে উনি আদালতের নির্দেশের তোয়াক্কা করেন না।”
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্মানহানি ও অমর্যাদার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “এই টুইটগুলি একটা ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে করা হচ্ছে, যার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের নাম জড়িত রয়েছে। উনি বুঝতে পারেন না যে ওনার কাছে যেটা মজার, সেটা অন্যের কাছে সম্মানহানিকরও হতে পারে।”