পৌঁছে গিয়েছিলেন সময়ের আগেই, থাকলেন ৪০ মিনিট! রুদ্ধদ্বারে ঠিক কী হল শুভেন্দু-প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন?

৪০ মিনিট! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

পৌঁছে গিয়েছিলেন সময়ের আগেই, থাকলেন ৪০ মিনিট! রুদ্ধদ্বারে ঠিক কী হল শুভেন্দু-প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন?
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 2:03 PM

নয়া দিল্লি: ৪০ মিনিট! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কী নিয়ে ঠিক আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেন নি দুঁদে রাজনীতিবিদ। মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এটি কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকারই হবে। তবে এর রাজনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে সচেতন পর্যবেক্ষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও তার প্রেক্ষিতে ৩৫৬ ধারা নিয়েই আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাশাপাশি আলোচনা হতে পারে বিধানসভার রণকৌশল নিয়েও। বিধানসভায় পরবর্তী রণকৌশল ঠিক কী হবে, তা নিয়েও এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০১৬ থেকে ২০২১ এ বেশ অনেকটাই বিধানসভায় আসন বাড়িয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতার মুুখ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী।

সেই শুভেন্দু, যিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন। শুভেন্দুকে এগিয়ে দিয়ে বা হাইলাইট করে মমতার ‘ব্যক্তিগত পরাজয়’ কে বার বার উস্কে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে ভিন দল থেকে আসা একের পর এক নেতা যখন ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য মমতার সামনে নাকেখত দিতেও রাজি তখন শুভেন্দুকেই খাঁটি এবং ‘দীর্ঘমেয়াদি’ বলে ধরে নিচ্ছে বিজেপি। পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলি দলের চোখে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর পক্ষে অনুকূল। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ তাঁর সাক্ষাৎও বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ।

শুভেন্দু অধিকারীকে গত সোমবার রাতারাতি দিল্লিতে তলব করা হয়। তিনি মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কথা হয় বাংলায় ৩৫৬ ধারার প্রয়োগ নিয়ে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ফের অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করতেই রাজীবের নামে ডোমজুড় জুড়ে পোস্টার

এরই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তলব করেছেন বাংলার আরও কয়েকজন সাংসদকে। দিল্লিতে তলব করা হয়েছে সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামাণিককে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আচমকাই কেবল শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে তলব নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে যে চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মিটিয়ে নিতে চাইছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে উনিশের নির্বাচনে জয়লাভ করা তিন সাংসদকে দিল্লিতে তলব। এই তলবও যথেষ্ট অন্য অর্থবহ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।