NHRC on Nagaland Firing: নাগাল্যান্ডের ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব মানবাধিকার কমিশনের
Nagaland Civilians Death: আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র এবং নাগাল্যান্ড সরকারকে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
নয়া দিল্লি : নাগাল্যান্ডে সেনা অভিযানে নিরপরাধ গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় এবার কেন্দ্র এবং নাগাল্যান্ড সরকারের রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অভিযোগটি দেখছে এবং আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র এবং নাগাল্যান্ড সরকারকে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
আজ মানবাধিকার কমিশনের তরফে এক টুইটে জানানো হয়েছে, “সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের জঙ্গি দমন অভিযানে ভুলের কারণে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর অভিযোগে কেন্দ্র এবং নাগাল্যান্ড সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।”
জানানো হয়েছে, কমিশন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং নাগাল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিব এবং রাজ্য পুলিশ প্রধানকে নোটিস জারি করেছে। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)যে তদন্ত করছে তার গতি প্রকৃতি, মৃতের নিকটাত্মীয়দের দেওয়া ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং ঘটনার জন্য দায়ী ব্য়ক্তি বা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাগুলিরও উল্লেখ করতে হবে রিপোর্টে।”
উল্লেখ্য আজ সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হচ্ছে, তারা এক মাসের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেবেন।
সূত্রের খবর, এনএসসিএন (কে-ওয়াইএন) জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই অভিযানের জন্য অসম থেকে প্যারা স্পেশাল ফোর্সকে আনা হয়েছিল। অভিযানের সময়, সন্দেহভাজনদের গাড়িতে ওঠার আগে তাদের উপর নজরদারি করার সময় ব্যারেলের মতো দেখতে একটি জিনিস চোখে পড়ে। সূত্রের খবর, এটি সম্ভবত শিকারের জন্য ব্যবহারের একটি রাইফেল যা সাধারণত এখানকার গ্রামবাসীরা ব্যবহার করে থাকেন।
নাগাল্যান্ডে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। সাধারণ নাগরিকদের খুন করাই বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ এনেছে নাগাল্যান্ড পুলিশ। পুলিশকে না জানিয়ে কেন অভিযান চালানো হল, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই এফআইআরে।
এফআইআরে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় কোনও পুলিশ উপস্থিত ছিল না। কোনও পুলিশের উপস্থিতির জন্য কোনও থানায় আবেদনও জানায়নি আধা সামরিক বাহিনী। তাই এটা স্পষ্ট যে সাধারণ মানুষকে হত্যা করাই বা আক্রমণ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
গতকালই অবশ্য এই ইস্যুতে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল সেনাবাহিনী। এই ঘটনার পর সেনাবাহিনী তরফে দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশ রুখতে মন জেলার তিরু এলাকায় অভিযানের পরিকল্পনা করেছিল সেনা।’ আরও বলা হয়েছে, ‘ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক জওয়ান। এক জওয়ানের মৃত্যুও হয়েছে।’