ভয় বাড়াচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্র-দিল্লির পর পঞ্জাবেও নৈশ কার্ফু, বন্ধ রাজনৈতিক সমাবেশ
বিয়ে ও শ্রাদ্ধের ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান হলে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জমায়েত ১০০ ও বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠান হলে সর্বোচ্চ জমায়েত ৫০ করার নির্দেশ দিয়েছে অমরিন্দর প্রশাসন।
পঞ্জাব: প্রথমে মহারাষ্ট্র, তারপর দিল্লি, এ বার করোনা রুখতে নৈশ কার্ফুর (Night Curfew) পথে হাঁটল পঞ্জাব। সে রাজ্যে রাত ৯টা থেকে ভোট ৫টা পর্যন্ত জারি হল নৈশ কার্ফু। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের প্রশাসন জানিয়েছে নৈশ কার্ফু জারি থাকবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। নৈশ কার্ফুর পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাবেশও নিষিদ্ধ হয়েছে পঞ্জাবে। কড়াকড়ি হয়েছে বিয়ে ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও।
বিয়ে ও শ্রাদ্ধের ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান হলে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জমায়েত ১০০ ও বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠান হলে সর্বোচ্চ জমায়েত ৫০ করার নির্দেশ দিয়েছে অমরিন্দর প্রশাসন। এর আগে পঞ্জাবের ১২টি জেলায় নৈশ কার্ফু জারি ছিল। নতুন এই সিদ্ধান্তে সারা রাজ্য জুড়ে কায়েম হল নৈশ কার্ফু। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, নৈশ কার্ফুর সঙ্গে অন্যান্য বিধিনিষেধও রাজ্য জুড়ে কায়েম থাকবে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। এই সময় শপিং মলগুলিতে প্রতি দোকানে ১০ জনের বেশি একই সময়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।
দেশে বিপুল গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। যা সর্বকালের রেকর্ড। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল, দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এ-ও জানিয়েছে, পরবর্তী ৪ সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। এমতাবস্থায় সংক্রমণে রাশ টানতে একের পর এক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা রুখতে টিকাকরণে জোর দিয়ে গোটা এপ্রিল মাসে ছুটির দিনেও করোনা টিকাকরণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
করোনা সংক্রমণ ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে ওঠার সময়ই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, দেশের ৮০ শতাংশের বেশি করোনা আক্রান্তের ঠিকানা স্রেফ ১১ রাজ্য। সেই রাজ্যগুলির তালিকায় প্রথম তিনের মধ্যেই ছিল পঞ্জাব। সে রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৭ জন। স্রেফ ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯০৫ জন। অমরিন্দরের রাজ্য করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ২১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ জন।
আরও পড়ুন: ‘করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী পরিযায়ীরা’, উদ্ধবকে কটাক্ষ করে দাবি রাজ ঠাকরের