Ram Mandir: রামমন্দির দর্শনে BJP-র পতাকায় না, ২২ জানুয়ারি নিয়ে প্রচারের কৌশল বাতলে দিলেন নাড্ডা
Ram Mandir: প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা ভোট। সলতে পাকানোর কাজও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রামমন্দিরকে পাখির চোখ করে ভোটবাক্সে লাভের গুড় তুলতে মরিয়া পদ্ম শিবির। সে কারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করে দেওয়া হয়েছে কাজ।
নয়া দিল্লি: রামমন্দির উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে অকাল দীপাবলি পালন নিশ্চিত করতে ব্লকস্তর পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ। নির্দেশ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। এদিন রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিজেপির সাংগঠনিক পরিকল্পনা কী থাকবে তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। একাধিক রাজ্যের নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা ভোট। সলতে পাকানোর কাজও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রামমন্দিরকে পাখির চোখ করে ভোটবাক্সে লাভের গুড় তুলতে মরিয়া পদ্ম শিবির। সে কারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করে দেওয়া হয়েছে কাজ। সূত্রের খবর, এদিন নাড্ডার বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী কয়েকদিন শহর-গ্রাম সব জায়গায় ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে ২২ জানুয়ারি প্রদীপ জ্বালানোর আবেদন জানানো হবে।
অন্যদিকে রেলপথে এখন মোট ৩৭ টি ট্রেন অযোধ্যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে আস্থা ট্রেন। দেশের ৪৩০ টি জায়গা থেকে মোট ৩৫ টি ট্রেন নতুন করে চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। সংগঠনের কর্মীদের অযোধ্যা দর্শনের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষ কেউ অযোধ্যায় যেতে চান কি না তার খোঁজ নিতে হবে। পার্টির কার্যকর্তাদের এই নির্দেশও দিয়েছেন নাড্ডা। প্রতি এলাকায় ঢোল, খোল, করতাল বাজিয়ে যাঁরা রাম মন্দির দর্শনে যাবেন তাঁদের অভিনন্দন এবং স্বাগত জানাতে হবে।
তবে রামমন্দির দর্শনের সময় বিজেপির পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। কিন্তু রামমন্দির সংক্রান্ত প্রচারের সময় ‘তিসরি বার মোদী সরকার/ আবকি বার মোদি সরকার ৪০০ পার’ স্লোগান দিয়ে প্রচার করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রামমন্দির দর্শন অভিযানে সংগঠনের কাজ সুচারুভাবে করতে রাজ্য, লোকসভা এবং বিধানসভাভিত্তিক সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর।
অন্যদিকে এদিনই আবার রামমন্দির দর্শনের জন্য অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থায় কী কী থাকছে, কোন কোন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ১০০ দিনে এক হাজার ট্রেন চালানো হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।