Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Congress-TMC: তৃণমূলের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ নৈব নৈব চ, অধীরের সুর এবার উত্তর-পূর্বের কংগ্রেস নেতাদের গলাতেও

TMC-Congress: এতদিন পর্যন্ত কংগ্রেস-তৃণমূলের বন্ধুত্বের মধ্যে একমাত্র 'কাঁটা' হয়ে উঠে আসছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তবে এখন আর তিনি একা নন, তৃণমূল বিরোধী সুর চড়ছে কংগ্রেসের অন্দরে...

Congress-TMC: তৃণমূলের সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' নৈব নৈব চ, অধীরের সুর এবার উত্তর-পূর্বের কংগ্রেস নেতাদের গলাতেও
তৃণমূল বিরোধী সুর বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরেImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2023 | 5:52 PM

নয়া দিল্লি: বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির আগামীর নীল নকশা তৈরি করতে সোমবার আরও এক দফা বৈঠক হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। তার আগে শনিবার দিল্লিতে ২৪, আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে উত্তর পূর্বের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে ওই বৈঠকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হয়। আর সেই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে আপসে ঘোর আপত্তির কথা জানালেন উত্তর পূর্বের প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, উত্তর পূর্বে আসলে বিজেপিকেই পরোক্ষে সাহায্য করতে চাইছে তৃণমূল। তাই তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়া নৈব নৈব চ।

এতদিন পর্যন্ত কংগ্রেস-তৃণমূলের বন্ধুত্বের মধ্যে একমাত্র ‘কাঁটা’ হয়ে উঠে আসছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বার বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সম্প্রতি অধীরদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, কোনও মন্তব্য করার আগে যেন সর্বভারতীয় স্তরে সম্ভাব্য জোটের কথা ভেবে তারপর বলেন। কিন্তু এবার আর শুধু অধীর একা নয়, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিও তৃণমূলের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ, মেঘালয়ের প্রদেশ সভাপতি ভিনসেন্ট পালা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নিজেদের অবস্থানের কথা। শুধু তৃণমূলই নয়, কারও সঙ্গে জোট চাইছেন না তাঁরা।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে আসরে নামে তৃণমূল। পা বাড়িয়েছে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতেও। আর এখানেই কংগ্রেসের নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে উত্তর পূর্বে কংগ্রসকে দুর্বল করার খেলায় মেতে উঠেছে। কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের ভাঙিয়ে নিজেদের দলে নিয়ে যাচ্ছে। তাই লোকসভার আসরে তৃণমূলকে ‘বিশ্বস্ত’ সঙ্গী হিসেবে মানতে চাইছেন না উত্তর পূর্বের কংগ্রেস নেতারা। দু’দিন পরেই যখন বিরোধীদের বৈঠক বসছে, ঠিক তার আগে উত্তর-পূর্বের নেতাদের এই অবস্থান আরও অস্বস্তি বাড়াল সনিয়া-মল্লিকার্জুন-রাহুলদের।