‘আমাদের বন্ধুত্ব আমির খান ও কিরণের মতো’, বিজেপিকে ‘ফিল্মি বার্তা’ শিবসেনার
Sanjay Raut: বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব কতটা নিবিড় তা বোঝাতে আমির-কিরণ প্রসঙ্গ টানলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
মুম্বই: ১৫ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির খান ও কিরণ রাও। তবে তাঁদের ‘বন্ধুত্বের’ সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না। জীবনের নতুন অধ্যায়ে সন্তানের বাবা-মা হিসেবে একসঙ্গে হাঁটবেন তাঁরা। আমির খান ও কিরণ রাওয়ের এই সিদ্ধান্ত এ বার রাজনীতিতেও। বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব কতটা নিবিড় তা বোঝাতে আমির-কিরণ প্রসঙ্গ টানলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)।
টলি-বলি পাড়ার মতো রাজনীতির পাড়াতেও গুঞ্জন হয়। সেরকমই নয়া দিল্লিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ফের জোট বাঁধতে পারে শিবসেনা ও বিজেপি। সেই জোট হবে কি না তা নিয়ে হাজারটা প্রশ্ন। তবে এটা ঠিক লাগাতার বন্ধুত্বের বাণী আওড়াচ্ছে দুই শিবিরই। রবিবারই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছিলেন, ” বিজেপি ও শিবসেনা কখনওই শত্রু নয়। ওরা আমাদের বন্ধু। একসঙ্গে লড়াই করে, ক্ষমতায় এসে, আমাদের ওরা ছেড়ে গিয়েছে। রাজনীতিতে হয় না বলে কিছুই নেই। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সবরকম সিদ্ধান্তই নেওয়া হতে পারে।”
তারপরই এ দিন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “বিজেপি ও শিবসেনা ভারত পাকিস্তান নয়। আমির খান ও কিরণ রাওকে দেখুন আমরা তাঁদের মতো। রাজনৈতিক পন্থা আলাদা হলেও আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস বা এনসিপির সঙ্গে তাদের জোট ভাঙার কোনও প্রশ্নই নেই। সরকার মেয়াদ শেষ করবে এ কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন সঞ্জয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ‘ওই পরিস্থিতির সিদ্ধান্তের’ বিষয় তুলে ধরছেন। যেখানে একে একে দুই হলে ফের জোট বাঁধতে পারে সেনা-বিজেপি। জল্পনায় ঘি ঢালছে ঘটনা প্রবাহ। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তখন মহারাষ্ট্রের শাসক দল সাফ জানিয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক আছে শিবসেনার। তারপর মোদীকে দেশের সর্বোচ্চ নেতা তকমা দেন সঞ্জয় রাউত। তার মধ্যেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। যেখান থেকে অনেকেই অনুমান করেছিলেন, শিবসেনা বিজেপির হাত ধরলে কীভাবে সরকার বাঁচানো যায়, পিকের সঙ্গে সেই পরিকল্পনাই করছিলেন পাওয়ার। এ বার এই ‘বন্ধু’ তকমা বিজেপি-সেনা জোটের জল্পনা আরও বাড়াল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ কী? ভিন রাজ্যে কীভাবে এর সুবিধা পাবেন?