ভূবনেশ্বর: কাজের চাপে দীর্ঘদিন ধরেই পিঠে ব্যাথ্যায় ভুগছিলেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদেরও জানিয়েছিলেন সেই কথা। পরিচিত এক ব্যক্তিই সেই সময় পরামর্শ দিয়েছিলেন গ্রামের এক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার। কিন্তু সেখানে যেতেই হল বিপত্তি। কারণ ব্যাথা কমানোর জন্য যে ইঞ্জেকশন (Injection) দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক, তা আদতে মানুষকে দেওয়ার ইঞ্জেকশনই নয়। ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়াতেই জানা গেল, ওই চিকিৎসক হাতুড়ে। তিনি যে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তা পশুদের দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) ময়ূরভঞ্জে।
মঙ্গলবার ওড়িশা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ওই হাতুড়ে চিকিৎসক পলাতক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের প্রচেষ্টা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, ওই দুই ব্যক্তি ময়ূরভঞ্জের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পিঠে ব্যাথায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। পরিচিত একজনের পরামর্শেই এক বন্ধুর সঙ্গে ময়ূরভঞ্জ জেলার থাকুরমুণ্ডা ব্লকের এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যান। ওই চিকিৎসক তাদের একটি ইঞ্জেকশন দেন ব্যাথা কমানোর জন্য। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তাদের যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে, তা পশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ওই দুজন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের জ্বর, ডায়েরিয়া ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যা রয়েছে। গোটা ঘটনা জানার পরই অসুস্থ ওই দুই ব্যক্তির পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযুক্ত ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খুনের প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই চিকিৎসক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Crime News: মে মাসেই ঠিক হয়েছে বিয়ের দিন, ‘সারপ্রাইজ ডেটে’ যেতেই এমন অবস্থা করল হবু বউ…