বিয়ের প্রথম রাত, একান্ত মুহূর্ত কাটাচ্ছিল স্বামী-স্ত্রী, লাইট নিভতেই ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা…চিৎকার করে উঠল কনে
Uttar Pradesh: নিজেদের মধ্যে চেনাজানা, ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময় তখন। একান্ত মুহূর্তেই হঠাৎ এমন একটা ঘটনা ঘটল যে রক্তে ভেসে গেল ঘর। ছুটে এল বাড়ির সবাই। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না নতুন বরকে।

লখনউ: বিয়ের রাত। বাড়ি ভরতি অতিথি গমগম করছে। স্বামী-স্ত্রী এক ঘরে। নিজেদের মধ্যে চেনাজানা, ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময় তখন। একান্ত মুহূর্তেই হঠাৎ এমন একটা ঘটনা ঘটল যে রক্তে ভেসে গেল ঘর। ছুটে এল বাড়ির সবাই। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না নতুন বরকে।
উত্তর প্রদেশের মিরাটে বিয়ের রাতেই বরের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল, যে সারা বাড়িতে শোকের ছায়া নামল। রাত দুটোর সময় বর উঠেছিলেন বাথরুমে যাওয়ার জন্য। কারোর যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য তিনি লাইট জ্বালাননি। বাথরুমে ঢোকার সময় তাঁর পা পিছলে যায় এবং পড়ে যান। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি বাথরুমে পড়ে থাকেন। স্ত্রী আওয়াজ শুনে উঠে আসেন। বরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে নববধূও চিৎকার করে ওঠেন।
কনের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরাও জেগে ওঠেন। বরকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে যায় যে দিল্লিতে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর মারা যান। বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মধ্যেই বিধবা হয়ে গেল কনে।
শাহজাহানপুরের বাসিন্দা অমিত কুমার একটি নার্সারিতে কাজ করতেন। গত ৭ মার্চ হাপুরের গড়মুক্তেশ্বরে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের রাতে, রাত আনুমানিক ২টার দিকে, অমিত বাথরুমে যান। বাথরুমে যাওয়ার সিঁড়িতে ওঠার সময় পা পিছলে যাযন। পড়ে গিয়ে সিঁড়িতে মাথা ঠুকে যায়, ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। তখন অমিতকে দিল্লি এইমস-এ রেফার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমিত মারা যান।





