উত্তপ্ত সিংঘু সীমান্ত, কৃষকদের তরোয়ালের ঘায়ে আহত পুলিশকর্মী

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 29, 2021 | 5:30 PM

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়,আজকের ঘটনায় আহত হয়েছেন আলিপুর থানার স্টেশন ইনচার্জ প্রদীপ পালিওয়াল। তরোয়ালের আঘাতে তাঁর হাতে গুরুতর চোট লেগেছে।

উত্তপ্ত সিংঘু সীমান্ত, কৃষকদের তরোয়ালের ঘায়ে আহত পুলিশকর্মী
তরোয়ালধারীকে আটকানোর চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। ছবি:দিল্লি পুলিশ।

Follow Us

নয়া দিল্লি: সিংঘু সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমশ। কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে ময়দানে নামতে হয়েছিল পুলিশকে। সেখানেই এক আন্দোলনকারী কৃষকের তরোয়ালের আঘাতে আহত হলেন প্রদীপ পালিওয়াল নামক এক পুলিশকর্মী।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, আন্দোলনকারী এক কৃষক তরোয়াল উচিয়ে এক পুলিশকর্মীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অন্য আরেকটি ভিডিয়োয় দেখা যায়,আন্দোলনকারী কৃষকদের কার্যত এক কোণায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের লাঠিপেটা করছেন পুলিশরা। রক্তমাখা তরোয়াল সরিয়ে নিতে যেতেও দেখা যায়।

আজ সকালেই সিংঘু ও তিকরি সীমান্তে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সীমান্ত খালি করতে বলেন। তিকরি সীমান্তে কোনও ঝামেলা না হলেও দুপুরেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় সিংঘু সীমান্ত। প্রায় ২০০ জন সীমান্তে জড়ো হয়ে কৃষকদের উদ্দেশে “খলিস্তান মুর্দাবাদ”, “তিরঙ্গার অপমান, সইবে না হিন্দুস্তান” লেখা পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়া শুরু হয়। কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় সীমান্ত।

আরও পড়ুন: নকশাল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পুলিশে, খুন করে জ্বালিয়ে দিল ভাই ও প্রাক্তন সঙ্গীরাই

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের তরফে শুরু করা হয় লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার। আন্দোলনকারী স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকদের গিয়ে আহত হন পুলিশকর্মীরাও। যদিও কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা সেজে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিই ঝামেলা করতে এসেছিলেন সীমান্তে। তাঁরা প্রথমে পাথর ছোড়ে এবং তাঁদের তাঁবুও ছিড়ে দেয়।

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়,আজকের ঘটনায় আহত হয়েছেন আলিপুর থানার স্টেশন ইনচার্জ প্রদীপ পালিওয়াল। তরোয়ালের আঘাতে তাঁর হাতে গুরুতর চোট লেগেছে। অন্যদিকে গতকাল বুরারি মাঠে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় নয়জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিরা উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং লালকেল্লায় যাওয়ার কথা বলছিলেন। তাঁদের আটক করতে গেলে কয়েকজন পুলিশকর্মীর উর্দিও ছিড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: কোবিন্দের কণ্ঠে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ! বাংলায় বললেন, “চল রে চল সবে ভারত সন্তান”

Next Article