Pahalgam: পাঁচ দিন পেরল! সেনার অভয়বাণীতে পহেলগাঁওতে আবারও পর্যটকদের ঢল, সেলফি তোলার হিড়িক, কলকাতার পর্যটক বললেন, ‘নিশ্চিন্তে ঘুরছি’
Pahalgam: এক পর্যটক বলেন, "যেদিন ওই ঘটনা ঘটে, সেদিনই আমরা শ্রীনগর এসেছিলাম। আমরা শ্রীনগরের সাইড সিন করছিলাম, সন্ধ্যার পর খবরটা পাই। ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি পর্যটকরা আসতেই পারেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই ভীষণভাবে সাহায্য করছে আমাদের।"

শ্রীনগর: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাস ২৬ জনের জীবন কেড়ে নিয়েছে। রক্তে ভিজে গিয়েছে পহেলগাঁওয়ের মাটি। আতঙ্কের মধ্যে এখনও পহেলগাঁও ছাড়তে নারাজ পর্যটকদের একাংশ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘেরাটোপে, তাঁদের অভায়বাণীতে ভূস্বর্গের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন তাঁরা।
তেমনই এক ট্যুর গাইড বললেন, “২২ তারিখই আমরা এসেছিলাম। পহেলগাঁওতে আজই আসলাম। পর্যটকদের সকলের অনুমতি নিয়েই আজ আমরা এখানে এসেছি। তাঁরা প্রত্যেকেই এখানে আসতে চেয়েছেন। হ্যাঁ, আমাদের যাত্রার বেশ কিছু অংশ কাটছাঁট করা হয়েছে।”
ওই দলেরই এক পর্যটক বলেন, “যেদিন ওই ঘটনা ঘটে, সেদিনই আমরা শ্রীনগর এসেছিলাম। আমরা শ্রীনগরের সাইড সিন করছিলাম, সন্ধ্যার পর খবরটা পাই। ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি পর্যটকরা আসতেই পারেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই ভীষণভাবে সাহায্য করছে আমাদের।”
ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। তবে পর্যটকরা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে। উপত্যকায় নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা, সেলফিও তুলছেন! কলকাতা থেকেই যাওয়া এক পর্যটক বললেন, “এখানে অনেক বেশি কড়া নজরদারি এখন। ভয় পাওয়ার তেমন কিছুই নেই। প্রথমটায় তো আমরাও ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পহেলগাঁও আসব কিনা। কিন্তু এখানকার লোকরা ভীষণ বেশি সাহায্য করছেন। আমরা বলব, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
পহেলগাঁও-কাণ্ডের পর থেকেই বাতিল হতে শুরু করেছিল কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার টিকিট। বুকিং বাতিল করছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে কাশ্মীর যাওয়ার আবেদন করেছেন অভিনেতা অতুল কুলকার্নি। আরও বেশি করে কাশ্মীরিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। অভিনেতার কথায়, “জঙ্গিরা আসলে আমাদের এই বার্তাই দিতে চাইছে, যেন কেউ কাশ্মীরে না যায়। কিন্তু আমরা কেন যাব না? এটা আমাদের কাশ্মীর, আমরা অবশ্যই যাব। আর যদি আমরা না যাই, যদি আমরা আমাদের বুকিং বাতিল করতে থাকি, যদি আমরা কাশ্মীর ঘুরতে না যাই, তাহলে আমরা ওদেরকে জিতিয়ে দেব।”

