Poonch Encounter: পুঞ্চে ৮ দিন ধরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তানের কমান্ডোরা?
Pakistan Commandos suspected to train terrorists : সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই অনুপ্রবেশকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তানের কমান্ডোরা।
শ্রীনগর : পুঞ্চের পাহাড়ি জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল জঙ্গিরা। টানা আটদিন ধরে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই চলেছে। এবার সেই জঙ্গিদের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই অনুপ্রবেশকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তানের কমান্ডোরা।
পুঞ্চের এই লড়াই বিগত কয়েক বছরে কাশ্মীরের সবথেকে বড় জঙ্গিদমন অভিযানের মধ্যে একটি। আট দিনের টানা গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছে নয় জন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে দু’জন জুনিয়র কমিশনড অফিসার (JCO) রয়েছেন। এত দীর্ঘ সময়ের সংঘর্ষ সাম্প্রতিক অতীতে দেখেনি কাশ্মীর। আর এতক্ষণ ধরে যেভাবে জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়ে রাখছিল, তাতে তাদের লড়াইয়ের কৌশল বেশ অন্যধরনের ছিল। এদিকে কোনও জঙ্গি নিকেশ হয়েছে কিনা, তাও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গির দেহ পাওয়া যায়নি। পুঞ্চের জঙ্গলে ৮-৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গির দেহ পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে সেনা সূত্রে চাঞ্চল্যকর খবর, পুঞ্চের ওই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তানের কমান্ডোরা।
১০ অক্টোবর পুঞ্চের ডেরাওয়ালি গলির কাছে জঙ্গিদের গুলিতে দুই জন জুনিয়র কমিশনড অফিসার সহ ৫ জওয়ান শহিদ হন। এই এলাকা ভারত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই। এরপর বৃহস্পতিবার আরও দুজন নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তার ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল দুজনের দেহ উদ্ধার হয়। গত দু’দিন ধরে জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন জওয়ানরা। সেখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে ভেবেই এই তল্লাশি অভিযান চলে। সেই অভিযান চলাকালীনই দুই সহযোদ্ধাকে উদ্ধার করেন জওয়ানরা।
সেনা এবং স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, এই জঙ্গিরা যেভাবে আট দিন ধরে এই বিশাল নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীকে এড়িয়ে এত জন জওয়ানকে গুলি করতে পেরেছে, তা দেখে অনুমান করা হচ্ছে তারা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর এলিট কমান্ডোদের দ্বারা প্রশিক্ষিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই জঙ্গিদের দলের সঙ্গে পাকিস্তানের কমান্ডোরাও থাকতে পারে। কিন্তু তাদের নিকেশ করা না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছি না।
এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি রয়েছে পুঞ্চে? সেনা আধিকারিকরা এখনই আর নতুন করে কোনও জওয়ানকে হারাতে চাইছেন না। আপাতত জঙ্গিদের জঙ্গলের একটি প্রান্তে কোনঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। জওয়ানদের সাহায্যের জন্য অভিযানে নেমেছেন সেনার প্যারা কমান্ডোরা এবং হেলিকপ্টার দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এদিকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ভূস্বর্গে যে কায়দায় হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্যে রয়েছে নতুন কোনও গোষ্ঠী। গোয়েন্দারা বলছেন, এই গোষ্ঠীর নাম হরকত ৩১৩ (Harkat 313)। যা আদতে ব্রিগেড ৩১৩-র নতুন সংস্করণ।
এই জঙ্গি গোষ্ঠী সরাসরি হক্কানি গোষ্ঠীর সদর দফতর মিরানশাহ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ইলিয়াস কাশ্মীরি। এই গোটা জঙ্গি সংগঠনই পাকিস্তানের আইএসআইয়ের চক্রান্তে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তালিবানের মাধ্যমে। মূলত, ভারতীয় সেনাদের ব্যস্ত রেখে এ দেশে জইশের জঙ্গি ঢোকানোই হরকত ৩১৩-র উদ্দেশ্য। এমনটাই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন : Jammu and Kashmir: জইশ জঙ্গিদের এ দেশে ঢোকাতেই ভূস্বর্গে নতুন কায়দায় হামলা? উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হরকত ৩১৩