Jammu and Kashmir: জইশ জঙ্গিদের এ দেশে ঢোকাতেই ভূস্বর্গে নতুন কায়দায় হামলা? উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হরকত ৩১৩
Harkat 313 : ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ভূস্বর্গে যে কায়দায় হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্যে রয়েছে নতুন কোনও গোষ্ঠী। গোয়েন্দারা বলছেন, এই গোষ্ঠীর নাম হরকত ৩১৩ (Harkat 313)। যা আদতে ব্রিগেড ৩১৩-র নতুন সংস্করণ।
শ্রীনগর ও নয়া দিল্লি : জইশ জঙ্গিদের (Jaish-e-Muhammad) ঠেকাতেই রাতের ঘুম উড়ছিল গোয়েন্দাদের। এবারে উপত্যকায় নয়া আতঙ্ক। আতঙ্কের নাম, হরকত ৩১৩। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ভূস্বর্গে যে কায়দায় হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্যে রয়েছে নতুন কোনও গোষ্ঠী। গোয়েন্দারা বলছেন, এই গোষ্ঠীর নাম হরকত ৩১৩ (Harkat 313)। যা আদতে ব্রিগেড ৩১৩-র নতুন সংস্করণ।
এই জঙ্গি গোষ্ঠী সরাসরি হক্কানি গোষ্ঠীর সদর দফতর মিরানশাহ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ইলিয়াস কাশ্মীরি। এই গোটা জঙ্গি সংগঠনই পাকিস্তানের আইএসআইয়ের চক্রান্তে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তালিবানের মাধ্যমে। মূলত, ভারতীয় সেনাদের ব্যস্ত রেখে এ দেশে জইশের জঙ্গি ঢোকানোই হরকত ৩১৩-র উদ্দেশ্য। এমনটাই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা।
একের পর এক হামলা নিয়ে আগেই গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছিল, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের উপত্যকায় আশ্রয় ও তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে কয়েকজন। এদের ওভার গ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক বলা হয়। সম্প্রতিই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি মিলিয়ে মোট ১৮টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তার আগে নিরাপত্তা বাহিনীও উপত্যকা থেকে প্রায় ৭০০ জনকে আটক করে, এদের মধ্যে ৫৭০ জনই কাশ্মীরের বাসিন্দা। যাদের আটক করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ ছিল। এর পাশাপাশি একাধিক ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কারও রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আজও তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তারাও ওভার গ্রাউন্ড নেটওয়ার্কের জন্য কাজ করতেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারা জঙ্গিদের উপত্যকায় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানা ছোট বড় তথ্য জানিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিতেন বলে সন্দেহ। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মেন্ধারে বিগত এক সপ্তাহ ধরেই এনকাউন্টার অভিযান চলছে। জঙ্গলের ভিতরে জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি খুঁজতে গিয়ে গুলির লড়াইয়ে ৯ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুও হয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই সংখ্যালঘুদের নিশানা করে যে হামলা হচ্ছে, তা রুখতেই এই জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী, এমনটাই জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রের তরফেও শ্রীনগরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। তিনি জঙ্গি দমন অভিযানগুলি পরিচালন করবেন বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে এখনও অবধি জঙ্গি হানায় ২৮ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। দুইজন পরিযায়ী শ্রমিকও ছিলেন। এছাড়াও এক কাশ্মীরী পণ্ডিতকেও তাঁর দোকানে ঢুকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তিনদিন পরেই একটি স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষক ও অপর এক শিক্ষককে হত্যা করে জঙ্গিরা। চলতি মাসেই উপত্যকা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তার আগেই এই ধরনের একের পর এক হামলা যথেষ্টই উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : Singhu Border: সিংঘু সীমান্তে নৃশংস হত্যালীলা থেকে শিক্ষা, সিসিটিভি বসাবে আন্দোলনকারী কৃষকরা