AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ঢাকায় খুলছে ISI-র অফিস, তলে তলে কোন শয়তানি ফন্দি আঁটছেন ইউনূস?

ISI Operation in Bangladesh: মোট ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এর দায়িত্বে থাকবে পাঁচজন চরম ভারত বিদ্বেষী পাক সেনাকর্তা। তারাই আইএসআই-র যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, নজরদারি চালাবে। জানা যাচ্ছে, ঢাকায়  আইএসআই-র কাজ পরিচালন করতে যোগ দিচ্ছেন পাক সেনার ১ ব্রিগেডিয়ার, ২ জন কর্নেল ও ৪ জন মেজর।

Bangladesh: ঢাকায় খুলছে ISI-র অফিস, তলে তলে কোন শয়তানি ফন্দি আঁটছেন ইউনূস?
ফাইল চিত্র।Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2025 | 4:17 PM
Share

ঢাকা: ভারতের জন্য আরও বিপদ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। পাকিস্তানের সঙ্গে ইউনূস সরকারের সখ্যতা এতটাই বেড়েছে যে আইএসআই(ISI)-কে বাংলাদেশে দফতর খোলার অনুমতি দেওয়া হল। ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশনে আইএসআই আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপে চিন্তা বাড়ছে ভারতের।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা কর্মকাণ্ড শুরু করতে চলেছে। এমনটাই খবর গোয়েন্দা সূত্রে। ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশন থেকেই আইএসআই নিজেদের কাজ চালাবে বলে খবর। সিএনএন সূত্রে খবর, পাাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার চারদিনের বাংলাদেশ সফরের সময়ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি সেই সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেন।

ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপে ভারতের বিপদ বাড়ছে, কারণ ভারত-বাংলাদেশের সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে, সেই জায়গাগুলিকেই টার্গেট করছে আইএসআই। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি নাশকতামূলক কাজকর্মের আশঙ্কাও বাড়ছে।

জানা গিয়েছে, মোট ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এর দায়িত্বে থাকবে পাঁচজন চরম ভারত বিদ্বেষী পাক সেনাকর্তা। তারাই আইএসআই-র যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, নজরদারি চালাবে। জানা যাচ্ছে, ঢাকায়  আইএসআই-র কাজ পরিচালন করতে যোগ দিচ্ছেন পাক সেনার ১ ব্রিগেডিয়ার, ২ জন কর্নেল ও ৪ জন মেজর। প্রথম দফায় যোগ দেবে পাকিস্তান বিমান ও নৌবাহিনীর কয়েকজন সদস্যও।

প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকার পতনের পরই, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আইএসআই প্রধান গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। সেই সময় থেকেই বাংলাদেশের বুকে আইএসআই-র ডালপালা বিস্তার হচ্ছিল। জাল নোট চক্র থেকে শুরু করে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার মতো কার্যকলাপ চলেছে। হাসিনা আমলে আইএসআই-র কার্যকলাপ বাংলাদেশে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল, কিন্তু ইউনূস সরকার আসতেই ফের সেই সখ্যতা তৈরি হয়েছে এবং তা কার্যত ভারতের চিন্তা বাড়াচ্ছে।

তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বিপদ যেমন বাড়ছে, তেমনই বাংলাদেশেরও কিন্তু বিপদ বাড়ছে। কারণ বাংলাদেশে আইএসআই-র কার্যকলাপ যত বাড়বে, ততই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট হবে। বাংলাদেশে এখনও নির্বাচিত সরকার নেই, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার আইএসআই-কে প্রশ্রয় দিয়ে বিপদ বাড়ল বই কমল না।