PM Narendra Modi: তৃণমূল খুনের খেলা খেলছে, নির্বাচনে অশান্তি করাতে গুন্ডা ভাড়া করা হয়েছিল: নরেন্দ্র মোদী

WB Poll Violence: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তৃণমূলের প্রথম কৌশলই হল নির্বাচনের জন্য সময় না দেওয়া। এত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে যে প্রস্তুতি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগই মিলবে না। বিজেপি বা কোনও বিরোধী দলকে মনোনয়ন পত্র জমা না দিতে পারেন, তার জন্য সবরকমের চেষ্টা চালানো হয়।"

PM Narendra Modi: তৃণমূল খুনের খেলা খেলছে, নির্বাচনে অশান্তি করাতে গুন্ডা ভাড়া করা হয়েছিল: নরেন্দ্র মোদী
পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2023 | 12:40 PM

হাওড়া:  বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা (Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।”

পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের কর্মীদের ক্ষমতা ও কাজের এক্তিয়ার বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  বলেন, “জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাজ্যের ক্য়াবিনেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখেন, অনেক কাজ করতে পারেন। বিজেপির কার্যকর্তা হিসাবে আপনারাও জেলায় জেলায় নিজের কাজ, ভাল ব্যবহার দিয়ে আপনারা সাধারণ মানুষের মন জিতছেন। সেই কারণে মানুষও আপনাদের উপরে বারংবার আস্থা প্রকাশ করছে। প্রয়োজন পড়লে বিজেপির কর্মীরা নিজেদের রক্ত দিয়ে লড়াই করেছেন।”

এরপরই পশ্চিমবঙ্গে প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “বিজেপি কর্মীরা, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা যেভাবে ভারতমাতার জন্য, রাজ্য়ের উন্নতির জন্য় সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা এক প্রকারের সাধনা। নিজেদের তিলে তিলে জ্বালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হারানো গৌরব ফেরানোর চেষ্টা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে সদ্য় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, এই নির্বাচনে তৃণমূল খুনের খেলা খেলেছে। গোটা দেশ তার সাক্ষী রয়েছে।”

পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের প্রথম কৌশলই হল নির্বাচনের জন্য সময় না দেওয়া। এত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে যে প্রস্তুতি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগই মিলবে না। বিজেপি বা কোনও বিরোধী দলকে মনোনয়ন পত্র জমা না দিতে পারেন, তার জন্য সবরকমের চেষ্টা চালানো হয়। এটা শুধু বিজেপির সঙ্গেই নয়, অন্যান্য দলের সঙ্গেও হচ্ছে। যদি কেউ বুদ্ধি করে মনোনয়ন জমাও দেন, তবে তাদের প্রচার করতে দেওয়া হয় না। পাশাপাশি ভোটারদের ভয় দেখানো, বিজেপি কর্মীদের পরিবারকে বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হয় না।”

ভোট সন্ত্রাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “নির্বাচনের সময়ও ধাপ্পাবাজি করা হয়। ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়।বুথ দখলের জন্য গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়। ব্যালট নিয়ে পালিয়ে যায়। ভোট গণনার সময়ও বাধা দেওয়া, বিজেপি কর্মীদের বুথে বসতে দেওয়া হয় না।”

তবে পঞ্চায়েতের ফল নিয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “এত কিছুর পরও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপি কর্মীদের আশীর্বাদ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ভোটের ফলাফলের পরও বিজেপিকে বিজয় মিছিল করতে দেওয়া হয় না। মিছিলে হামলা করা হয়। প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। এটাই তৃণমূলের রাজনীতি। বাংলায় আদিবাসী ভাইবোনেদের কীভাবে প্রতারিত করা হচ্ছে, তা আমরা জানি। এরপরও বিজেপির কর্মীরা জয়ী হয়েছেন। তাদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজ করতে দেন না বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের বাধা দেওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ৪৫ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।