‘দৌড়ে চলে এসো’, এক ই-মেলে ছোট্ট আনিশার স্বপ্নের সওদাগর মোদী!
PM Narendra Modi: শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ এককথায় সর্বজনবিদিত। যার প্রতিফলন ফের একবার দেখতে পাওয়া গেল।
কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের বয়স প্রায় ৭০ ছুঁয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভেতরের শৈশবকে তিনি এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন। সময়ে-অসময়ে নানা ঘটনায় তাঁর ভেতরে লুকিয়ে থাকা এই শিশুমন বাঁধ ভেঙে কচিকাঁচাদের সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠে। কখনও আবার কোনও খুদে বেশি পাবজি গেম খেলে কিনা, সেই খোঁজও নিতে ভোলে না। পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের সঙ্গে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র মাধ্যমে হোক, বা পরীক্ষার পর সফল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে; উৎসাহ দিতে কখনই পিছপা হন না প্রধানমন্ত্রী। শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ এককথায় সর্বজনবিদিত। যার প্রতিফলন ফের একবার দেখতে পাওয়া গেল।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি ১০ বছরের ছোট্ট আনিশা দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায়। যেভাবেই হোক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সে দেখা করবে, এটাই ছিল আনিশার ধ্যান-জ্ঞান। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা কি চাট্টিখানিক কথা! কোটি কোটি মানুষ তাঁকে সামনে থেকে দেখতে চাইলেও সেই ভাগ্য হয় ক’জনের? এই কথা ভেবেই মেয়ের আবদার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন আনিশার বাবা-মা। কিন্তু আনিশা নিজের জেদ থেকে পিছিয়ে আসেনি।
আনিশা যে সত্যি মন থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চায়, শেষ পর্যন্ত সেই বার্তাও খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যায়। কী ভাবে? পিএমও সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের ল্যাপটপ থেকে ছোট্ট আনিশা সোজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরের ই-মেল আইডিতে মেল করে বসে। ছোট্ট ই-মেলে সে লেখে, “আমি আনিশা। প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
ই-মেলের জবাব যে আসতে পারে, সেই কল্পনা কস্মিনকালেও করেননি আনিশার বাবা-মা। কিন্তু মন থেকে যা চাওয়া হয়, সেটা সত্যিই পাওয়া যায়, এই প্রবাদবাক্যকে সত্যি করেই আনিশার ই-মেলের জবাব দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর জবাবও ছিল ছোট্ট। কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। মোদী আনিশাকে লেখেন, “দৌড়ে চলে এসো।”
ব্যাস। আর কীসের অপেক্ষা! এই ই-মেল পাওয়ার পরই ছোট্ট আনিশাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ছোটেন তাঁর বাবা-মা। সেখানেই স্বপ্ন সত্যি হয় আনিশার। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, ছবিও তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও পড়ুন: ইউপিএ সরকারের ঝুঁকি নেওয়ার সাহস ছিল না, আমাদের আছে: প্রধানমন্ত্রী