
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাস্টারস্ট্রোক, তাতেই ঘোল খেয়ে গেল পাকিস্তান। ভারত যে হামলার পরিকল্পনা করছে, তা আন্দাজও করতে পারেনি পাকিস্তান। ২০১৯ সালের বালাকোট হামলার আগে এবং আজকের ‘অপারেশন সিঁদুরে’র আগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় পাকিস্তান বদলার সতর্কবার্তা পেলেও, তারা সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল মক ড্রিলের খবরে। কূটনীতির চাল তো একেই বলে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর পরিকল্পনাই ছিল শত্রুপক্ষকে বুঝতে দেওয়া যাবে না, এমন অতর্কিতে হামলা করতে হবে। বালাকোটের সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন তিনি।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত। হামলার আগে কাক-পক্ষীও টের পায়নি, এত বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত সরকার। বিশেষ করে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে তো আন্দাজই করতে পারেনি শত্রু পক্ষ। এয়ারস্ট্রাইকের আগের দিন, ২৫ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় কেউ আন্দাজ করতে পারেনি রাতে কী হতে চলেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোওয়ায়।
ওই দিন রাত ৯টায় যখন ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান প্রস্তুত হচ্ছে টেক অফের জন্য, সেই সময় একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তিনি ভারতের উচ্চাকাক্ষ্মা, উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছিলেন। তার মুখ-চোখে বিন্দুমাত্র চিন্তা বা উদ্বেগের ছাপ ছিল না যে ভারত এত বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে।
মনস্তত্ত্ববিদরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই আচরণকে ব্যাখ্যা করেছেন যে ঝড়ের আগে যেমন সব কিছু শান্ত হয়ে যায়, তেমনই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব। তিনি শত্রুপক্ষকে বুঝতেই দেন না ভিতরে কী চলছে।
এবারও পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানোর আগে প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে ভারতের স্বপ্ন ও উচ্চাকাক্ষ্মা নিয়ে কথা বলছিলেন। ৩০ মিনিটের ওই বক্তব্যে কোথাও বোঝা যায়নি তিনি উদ্বিগ্ন। বরং পি শব্দ নিয়ে মজাও করেন তিনি।