ভারতের সঙ্গে ফের জুড়তে চাইছে PoK? অমিত শাহের দাবির পরেই বড় সিদ্ধান্ত
'PoK হামারা হ্যায়'! অর্থাৎ, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের।' সম্প্রতি ফের এই দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। ,ইঙ্গিত দেন, দ্রুতই তাঁদের সরকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মাটি পুনর্দখল করবে।

‘PoK হামারা হ্যায়’! অর্থাৎ, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের।’ সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যম আয়োজিত সামিটে এই দাবি ফের করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। ,ইঙ্গিত দেন, দ্রুতই তাঁদের সরকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মাটি পুনর্দখল করবে। ঠিক কবে, সেটা স্পষ্ট না করলেও জোরাল সওয়াল করেন, PoK অবশ্যই ভারতের। সরকার খুব দ্রুত নিজেদের ন্যায্য দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবির পরেই সাম্প্রতিক কালের সবথেকে বড় খবরটা এল পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে। PoK-র বাসিন্দারা এবার ভারতের সঙ্গে জুড়তে চেয়ে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ করলেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, PoK-র মাটিকে আর সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পাকিস্তান সরকার ও সেনাকে তাঁরা ব্যবহার করতে দেবেন না। ভারতের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে PoK-র মাটিকে ব্যবহার করে যে ছায়াযুদ্ধ বা প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে পাক সরকার, সেটা তাঁরা আর হতে দেবেন না।
তাঁদের এই এক পদক্ষেপ পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ থেকে শুরু করে জঙ্গি নেতা হাফিজ সৈয়দ, মাসুদ আজহারের পায়ের নিচের মাটি কাঁপিয়ে দিয়েছে। গত চার বছর ধরেই পাক সেনা ও সরকারের বিভিন্ন নিয়মকানুনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন PoK-র বাসিন্দারা। একই সঙ্গে সরকারের তীব্র দমন-পীড়ন ও কোনও কারণ ছাড়াই ধরপাকড়ের প্রতিও অসহিষ্ণুতা ক্রমশই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে এখন পাক সেনা ও PoK-র বাসিন্দারা কার্যত সম্মুখ সমরের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
PoK রাজনীতিতে এই মুহূর্তে শক্তি বাড়াচ্ছে আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি। মানুষের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতাও বাড়ছে প্রতিদিনই। এবার সংগঠনের শীর্ষ নেতা সর্দার লিয়াকত ঘোষণা করলেন, লস্কর ই তৈবা বা জইশ ই মহাম্মদের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনকে তাঁরা পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে কোনও বৈঠক করতে দেবেন না। এই ঘোষণা এই কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আসন্ন ১৮ এপ্রিল রাওয়ালকোটে লস্কর ই তৈবা-র এক বড় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। যেখানে ভারতের কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম জঙ্গি আকিফ হালিমের মরদেহতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল পাক জঙ্গিদের। কিন্তু এবার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা এককাট্টা হয়ে জানিয়ে দিলেন, কোনও জঙ্গিকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা দেবেন না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার বার্তা দিয়ে PoK-র বাসিন্দারা ভারতের সঙ্গে জুড়তে চান। বন্দুক ফেলে শিক্ষা, শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির আলোয় ফিরতে চান।