Delhi’s Lady don: দেখতে নায়িকার থেকে কম নয়! কোটি টাকার মাদক পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার দিল্লির ‘লেডি ডন’
Delhi's lady don: কয়েক বছর ধরেই পুলিশকে ফাঁকি দিয়েও শেষমেশ পার পেল না দিল্লির 'হাসিনা'। পুলিশ আবার তাকে আখ্যান দিয়েছে 'লেডি ডনের'। তার নাম জোয়া খান।

নয়াদিল্লি: কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম দুবাইয়ে পলায়নের পর মুম্বইয়ে দাদার সকল কারবার চালিয়েছিলেন বোন হাসিনা পার্কার। বলা হয় মুম্বইয়ের ডোঙ্গরি এলাকায় নাকি হাসিনার দাপট এতটাই ছিল যে বাঘে-গরুতেও এক ঘাটে জল খেত। মুম্বইয়ের অপরাধ জগতের সে একটা কাল। এখন সময় বদলেছে। তবে হাসিনারা এখনও রয়ে গিয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই পুলিশকে ফাঁকি দিয়েও শেষমেশ পার পেল না দিল্লির ‘হাসিনা’। পুলিশ আবার তাকে আখ্যান দিয়েছে ‘লেডি ডনের’। তার নাম জোয়া খান। শুক্রবার, অবশেষে ২৭০ গ্রাম হেরোইন-সহ, যার বাজারদর প্রায় ১ কোটি টাকারও অধিক, তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিশ। স্বামীর মাদক পাচারের কারবার যে জোয়াই চালাচ্ছেন তা জানত পুলিশ। কিন্তু যথাযথ প্রমাণ হাতে না থাকায় বারবারই তাঁকে ধরতে ব্য়র্থ হয়েছে তারা।
View this post on Instagram
গ্যাংস্টার হাশিম বাবারের তৃতীয় স্ত্রী জোয়া। আপাতত দিল্লি পুলিশের কাছে মাদক পাচার মামলায় ধরা খেয়ে তিহাড়ে জেলবন্দি হাশিম। কিন্তু তিনি জেলে গেলেও থেমে থাকেনি কারবার। পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রীতিমতো ব্যবসা চালিয়েছে জোয়া। বিস্তার করেছে নিজের সাম্রাজ্য। কিন্তু, কোন পথে এই কারবার পুনরুদ্ধার করেছিলেন তিনি, সেই প্রমাণ না মেলার জন্য এতদিন ধরে ঝুলেছিল জোয়ার গ্রেফতারি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাদক সাম্রাজ্য চালালেও নিজের ভাবমূর্তিকে বরাবর বজায় রেখেছেন জোয়া। বিশেষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠা-বসা, বিলাসবহুল ভ্রমণ, পার্টিতে যাওয়া সবই করতেন তিনি। সমাজমাধ্যমেও নাকি বেশ সক্রিয় ছিলেন জোয়া।
তবে পরিবারে কিন্তু তিনি প্রথম নয়। অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার এই রীতি পরিবার সূত্রেই পেয়েছেন জোয়া। ২০২৪ সালে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন জোয়ার মা। বাবাও যুক্ত রয়েছেন এই মাদক কারবারের সঙ্গে।





