Prashant Kishor: ‘লিখে নিন, ভুল প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’, ভোটের আগেই ফের বড় ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র
Prashant Kishor Prediction: বিহার নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, "বিজেপি আর সমর্থন করবে না বুঝে নীতীশ কুমার জোট বদল করতে পারেন, কিন্তু জেডিইউ এত খারাপ ফল করবে যে যেই জোটেই যান না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবেন না।"

পটনা: রাজনীতিবিদ থেকে ভোটকুশলী, সেখান থেকে আবার রাজনীতিবিদ। এত অভিজ্ঞতা রাজনীতি নিয়ে, তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী নাকি অক্ষরে অক্ষরে ফলে। কথা হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন নিয়ে তিনি যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের ভবিষ্যদ্বাণী সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি শপথ নিয়েছিলেন যে আর কখনও ভবিষ্যদ্বাণী করবেন না। তবে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। সেই ভবিষ্যদ্বাণী করেই ফেললেন। এবার কাকে নিয়ে বললেন তিনি?
বুধবারই বিহারের জন সূরজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি বলেন যে বিজেপির সঙ্গে জোটে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেও, ভোটের পর তিনি আবার পাল্টি মারবেন। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তিনি ফের শিবির বদল করবেন।
পশ্চিম চম্পারণে একটি সাংবাদিক বৈঠকে নীতীশ কুমারকে বিঁধে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “নভেম্বরের পর নীতীশ কুমার বাদে যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। আমার থেকে লিখিত নিয়ে নিন। যদি আমি ভুল প্রমাণ হই, তবে আমি নিজের রাজনৈতিক প্রচার ছেড়ে দেব।”
গতবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছিলেন নীতীশ কুমার। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, তা নিয়ে উচ্চবাচ্যও করছে না বিজেপি। তবে কি নীতীশ কুমার ফের শিবির বদল করতে পারেন? এই প্রশ্নের জবাবেই ভোটকুশলী পিকে বলেন, “উনি বিজেপির সঙ্গেই জোটে নির্বাচন লড়বেন। বরাবরই তাই করে এসেছেন, শুধু ২০১৫ সালের নির্বাচন বাদে যখন আমি ওনার প্রচার সামলেছিলাম।”
পিকে দাবি করেন, নীতীশ কুমারের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়াতেই বিজেপি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করতে দ্বিধা করছে। তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি নীতীশ কুমারকে ঘোষণা করতে যে নীতীশ কুমারই ৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। যদি তা করেন, তবে বিজেপির ভোটে জিততে সমস্যা হবে।”
বিহার নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “বিজেপি আর সমর্থন করবে না বুঝে নীতীশ কুমার জোট বদল করতে পারেন, কিন্তু জেডিইউ এত খারাপ ফল করবে যে যেই জোটেই যান না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবেন না।”
নীতীশ কুমার শারীরিকভাবে ক্লান্ত এবং মানসিকভাবে অবসর নিয়ে নিয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন পিকে। বলেন, “আমি নয়, প্রয়াত বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদীই বলেছিলেন যে নীতীশ কুমারের গুরুতর মানসিক সমস্যা রয়েছে। আমি বহুবার তাঁকে (নীতীশ) চ্যালেঞ্জ করেছি কাগজ না দেখে তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদের নাম বলতে। কোন জেলায় সফর করছেন, তাও বলতে পারেন না পাশ থেকে কেনও আধিকারিক বলে না দিলে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই অবস্থাতেও তিনি বিহার চালাচ্ছেন।”





