AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prashant Kishor: বিহারে এই কারণেই জিতে গেলেন নীতীশ, অকপটে নিজের ‘ভুল স্বীকার’ প্রশান্ত কিশোরের

Bihar Assembly Election Results 2025: প্রশান্ত কিশোরের দাবি, প্রতি বিধানসভায় জেডিইউ ১০০ টাকা করে বিতরণ করেছিল। মোট ১২৫ কোটি খরচ করেছে। তিনি জোর গলায় বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস...জেডিইউয়ের ২৫টার বেশি আসন জেতার কথা নয়, কিন্তু ওরা ৮০টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।"

Prashant Kishor: বিহারে এই কারণেই জিতে গেলেন নীতীশ, অকপটে নিজের 'ভুল স্বীকার' প্রশান্ত কিশোরের
প্রশান্ত কিশোর।Image Credit: PTI
| Updated on: Nov 19, 2025 | 2:40 PM
Share

পটনা: তাঁর ভোট কৌশলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে জয়ী হলেও, বিহারের নির্বাচনে ধরাশায়ী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) দল। পিকে-র জন সূরজ পার্টির আত্মপ্রকাশের পর এটাই প্রথম নির্বাচন ছিল, সেখানে একটাও আসনে জয়ী হতে পারেনি। বিহারের ভোটে এত খারাপ ফলের কারণ কী, তা নিজেই ব্যাখ্য়া করলেন প্রশান্ত কিশোর।

এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভোটকুশলী তথা জন সূরজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর বললেন যে বিজেপি ও জেডিইউ রাজ্যের ১.২১ কোটি মহিলাকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট কিনেছে। পিকে-র দাবি, ভোটের কয়েকদিন আগে মহিলাদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, যা নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য পাবেন মহিলা, তা বিরাট প্রভাব ফেলেছে জনমানসে। ভোট টানতে এই টাকার প্রতিশ্রুতিই যথেষ্ট ছিল। সেই কারণেই নীতীশ কুমারের জেডিইউ ৮৫ আসনে জয়ী হয়েছে, যা গত নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি। নাহলে জেডিইউ-র ২৫ আসনের বেশি পাওয়ার কথাই ছিল না। পিকে-র দাবি, এনডিএ টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে।

প্রশান্ত কিশোরের আরও দাবি, প্রতি বিধানসভায় জেডিইউ ১০০ টাকা করে বিতরণ করেছিল। মোট ১২৫ কোটি খরচ করেছে। তিনি জোর গলায় বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস…জেডিইউয়ের ২৫টার বেশি আসন জেতার কথা নয়, কিন্তু ওরা ৮০টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। লোকজন আমায় বলছে যে আমার অ্যানালিসিস ভুল ছিল, হয়তো আপাতচোখে এটা ভুল লাগছে, কিন্তু গভীরে খতিয়ে দেখলে দেখবেন যে ১২৫ কোটি মানুষকে সরকার ১০০ টাকা করে দিয়েছে ভোটের আগে এবং ৬০-৬২ হাজার মানুষকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।”

কেন সরকারি অনুদান বা উন্নয়ন স্কিমগুলি নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পিকে। একইসঙ্গে এটাও মেনে নেন যে নির্বাচনে না লড়াই করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এর যুক্তি দিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “যদি আমি জানি যে আমি হেরে যাব, তাহলে কেন আমি টাকাপয়সা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাব? যদি আমি নিশ্চিতভাবে আমার সব টাকা সাংসদ বা বিধায়ক হওয়ার জন্য খরচ করতাম। যদি আমি জানি যে জন সূরজ হারবে, তাহলে এত বড় রিস্ক নেব কেন? আমি জানতাম না যে পার্টি ৪ শতাংশ ভোট পাবে। আমি নিজের সমীক্ষা করিনি।”