PM Modi: “১০০ কোটি টিকা দেওয়ার পরেও একটুও ঢিলেমি দিলে নতুন বিপদ আসতে পারে”, জেলাশাসকদের বৈঠকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Narendra Modi, একদিনে আড়াই কোটি করোনা টিকা দিয়ে আমরা পুরো বিশ্বকে আমদের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি করোনা টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে দেশ। এই বিপুল মাত্রায় টিকাকরণ হলেও কোনও রকমের ঢিলেমি দেওয়ার যায়গা নেই।
নয়া দিল্লি: করোনাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, ৩ নভেম্বর দুপুরে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছিল,গ্লাসগোতে (Glasgow) অনুষ্ঠিত হওয়া জলবায়ু সম্মলন (Climate Conference) থেকে ফিরে আসার পরেই যে জেলা গুলিতে করোনা টিকাকরণের হার কম সেই সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মত এদিনের বৈঠকের জেলাশাসকদের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্দভ ঠাকরে, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, অসমের হেমন্ত বিশ্বকর্মার মত বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে করোনা টিকাকরণের হার বাড়ানোর ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একদিনে আড়াই কোটি করোনা টিকা দিয়ে আমরা পুরো বিশ্বকে আমদের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি করোনা টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে দেশ। এই বিপুল মাত্রায় টিকাকরণ হলেও কোনও রকমের ঢিলেমি দেওয়ার যায়গা নেই। আমাদেকর লক্ষ্যে দেশের সকলকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া। টিকাকরণের বর্তমান সংখ্যা দেখে ঢিলেমি দিলে বড় বিপদ আসার প্রবল সম্ভবানা। বড় ধাক্কা আমাদের মত বিশাল জনসংখ্যার দেশ সামলাতে পারবে না।”
টিকাকরণের গতি বাড়াতে বেশ কিছু উপায় বাতলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “টিকাকরণের গতি বাড়ানোর জন্য আলাদা আলাদা জেলা ভিন্ন নীতি হবে। ধর্মগুরুদের কথা মানুষ শোনে, তাদের দিয়ে টিকাকরণের পক্ষে ছোট ছোট ভিডিয়ো বানিয়ে সেই এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে………. আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ও মহিলা পুলিশ কর্মীরা এই অতিমারির সময়ে যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। যেসব এলাকায় টিকাকরণের হার কম সেখানে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মাদের পাঠান। টিকাকরণেক হার বাড়বে।”
আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার আলো তুলনামূলকভাবে কম পৌঁছেছে। তাই আদিবাসী সমাজের অনেকই হয়ত টিকার প্রয়োজনীয়তা বোঝেন না। আদিবাসীদের কাছে টিকা পৌঁছে অভিনব উপায় বাতলে দেন প্রধানমন্ত্রী। “তিনি বলেন সামনের বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন। আপনারা প্রচার করুন এই বছর আমারা তাঁর জন্মদিনে করোনা টিকা নিয়ে বিরসা মুণ্ডার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব। এতে আদিবাসী সমাজের অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী হবে।”
আগেই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Union health minister Mansukh Mandaviya) জানিয়েছিলেন, “আমরা “হর ঘর দস্তক” নামক টিকাদান অভিযান শুরু করতে চলেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী এক মাসের জন্য, স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ় পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের টিকা দেবেন। যারা প্রথম ডোজ় পাননি তাদেরও টিকা দেওয়া হবে।”
এদিন সরকারের “হর ঘর দস্তক” প্রকল্পের কথা শোনা যায় নরেন্দ্র মোদীর গলায়। তিনি বলেন, “বাড়ি বাড়ি টিকা দিতে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের মাথায় রাখতে হবে প্রথম ডোজ়ের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ়ও সমানভাবে দিতে হবে। ‘হর ঘর টিকা, ঘর ঘর টিকা’ এটাই আমদের প্রধান লক্ষ্য।”