লখনউ: সম্ভবত আগামি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই হতে চলছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মসূচির উদ্বোধনের জন্য ঘনঘন গোবলয়ের রাজ্যে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বারবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠলেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে যোগী আদিত্যনাথের ওপরই আস্থা রাখছেন সেই কথাই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। শনিবার উত্তর প্রদেশে গিয়ে মোদী বলেন, “ইউপি + যোগী= উপযোগী।”
শনিবার ভোটমুখী উত্তর প্রদেশে, গঙ্গা এক্সপ্রেসয়ে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে ৫৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হবে। ৩৬ হাজার ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও এটিই হবে দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ হয়নি। এই এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের ফলে পূর্বের মিরাট ও পশ্চিমের প্রয়াগারাজের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে ৪০ মিনিট ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি ফলে নতুন শিল্পের সম্ভবনা তৈরি হবে এর পাশাপাশি যুব সমাজের জন্য বিপুল কর্মসংস্থানেরও সুযোগ রয়েছে।” এরপরই বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, “আপনার দেখেছেন, অন্য দলের সরকার কীভাবে সরকারি অর্থ অপচয় করত। বর্তমানে সরকার উন্নয়নের কাজেই অর্থ খরচ করছে। আগে এই প্রকল্পগুলি খাতায় কলমে শুরু হলেও বাস্তাবায়িত হয়নি, রাজনীতিবিদরা নিজের প্রকল্পের টাকা থেকে লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে আপনাদের সকলের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আছে যাদের দেশের ঐতিহ্য রক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”
এদিন যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। যোগী সরকারের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিরও প্রশংসা করেন মোদী। তিনি বলেন, “বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার আগে, উত্তর প্রদেশে একটি কথা প্রচলিত ছিল সূর্যাস্তের আগেই বাড়ি ফিরতে হবে কারণ তারপরই এলাকা বন্দুকবাজদের কবলে চলে যায়।”
উল্লেখ্য, আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিন যত এগোচ্ছে, দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তত চড়ছে। নির্বাচনে কাদের মানুষ গ্রহন করে সেই উত্তর মিলবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।