New Omicron Cases in India: এক ধাক্কায় ওমিক্রনে আক্রান্ত বেড়ে ১২৬, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের অসাবধানতাই কি ডেকে আনছে বিপদ?
Omicron Cases: তিরুবনন্তপুরমের আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ বছরের কিশোর সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে ফিরেছিল, অন্যদিকে ৪৪ বছর বয়সী রোগী একটি চার্টার্ড বিমানে করে তিউনেশিয়া থেকে এসেছিলেন।
নয়া দিল্লি: চলতি মাসের শুরুতেই দেশে প্রথম ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। যত সময় এগোচ্ছে, দেশে ততই হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারও কর্নাটকে (Karnataka) ৬ জন , কেরলে (Kerala) ৪ জন ও মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলায়, দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৬-এ।
কেন্দ্র ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মধ্যে এখনও ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলি হল- মহারাষ্ট্র (৪৩), দিল্লি (২২), রাজস্থান (১৭), কর্নাটক (১৪), তেলঙ্গনা (৮), গুজরাট (৭), কেরল (১১), অন্ধ্র প্রদেশ (১০), চণ্ডীগঢ় (১), তামিলনাড়ু (১) ও পশ্চিমবঙ্গ (১)।
শনিবার কর্নাটকে নতুন করে যে ৬ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তাদের মধ্যে একজন ব্রিটেন থেকে ফিরেছিলেন সম্প্রতি। বাকি ৫ জন আক্রান্তই দক্ষিণ কন্নড় জেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা কোভিড ক্লাস্টার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানের পড়ুয়া। আক্রান্তদের বিদেশে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে কিনা কিংবা তারা কোনও বিদেশ থেকে আগত পড়ুয়ার সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর টুইট করে জানান, দক্ষিণ কন্নড় জেলায় দুটি ক্লাস্টার চিহ্নিত করা হয়েছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্য়ে ৪ জন আবার ওমিক্রনে আক্রান্ত। অপর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্য়ে একজনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। ব্রিটেন ফেরত এক যাত্রীও ওমিক্রনে সংক্রমিত বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, কেরলেও ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া। গতকাল তিরুবনন্তপুরম থেকে দুইজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তাদের বয়স ১৭ ও ৪৪। এছাড়া মলপ্পুরমে ৩৭ বছর বয়সী একজন ও ত্রিশূর জেলায় ৪৯ বছর বয়সী একজন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিরুবনন্তপুরমের আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ বছরের কিশোর সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে ফিরেছিল, অন্যদিকে ৪৪ বছর বয়সী রোগী একটি চার্টার্ড বিমানে করে তিউনেশিয়া থেকে এসেছিলেন। মলপ্পুরমে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সম্প্রতিই তানজানিয়া থেকে ফিরেছেন এবং ত্রিশূরের বাসিন্দা সম্প্রতি কেনিয়া থেকে এসেছিলেন বলে জানান কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।
দেশের মধ্যে সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া মহারাষ্ট্রেই। সেখানে শনিবারও নতুন করে তিনজন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি উগান্ডা থেকে সাতারা জেলায় ফেরত আসা এক দম্পতি ও তাদের ১৩ বছরের মেয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের অপর কন্য়া করোনা আক্রান্ত হলেও, ওমিক্রনে সংক্রমিত নয় বলেই জানা গিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর তারা উগান্ডা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হলে স্বামী(৩৫)-স্ত্রী(৩৩) ও তাদের বড় মেয়ের (১৩) করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ৫ বছরের শিশুটির নমুনা সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না হওয়ায়, সবকটি নমুনাই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়।