Dholahat Blast: বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৬, ৪, ৮ মাসের তিন শিশুর দেহ, দেখুন কীভাবে আগুনে ছারখার গোটা বাড়ি
Dholahat Blast: সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বাড়ি। ৭ জনের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে চলছিল বাজি কারখানা।

পাথরপ্রতিমা: কেউ বলছেন সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে, আর তাতেই আগুন লেগে যায় গোটা বাড়িতে। আবার কেউ বলছেন, পরিত্যক্ত বাজি থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ঢোলাহাটে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাস্থলের ছবি বলে দিচ্ছে বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল কতটা।
বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদের একাংশ। সিলিং থেকে খসে পড়েছে বড় চাঙড়, বেঁকে গিয়েছে সিলিং ফ্যান। খাট-টেবিল সহ বাড়ির আসবাব পত্র পুড়ে ছাই। লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে রান্নাঘর। এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে বাজির খোল। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ যেভাবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে, তাতে কেঁপে ওঠেন আশপাশের লোকজন। নিমেষে আগুন ধরে যায় গোটা বাড়িতে।
মোট ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ৬ মাস, ৪মাস ও ৮ মাসের শিশু। ১১ বছরের এক নাবালকের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় শিশুদের দেহ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ৮-১০ বছর ধরে ওই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন দুই ভাই। সবটাই পুলিশ প্রশাসনের গোচরে ছিল বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। ঘটনার পর থেকে দুই ভাইয়ের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। তারা আহত অবস্থায় কোনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কি না, তা স্পষ্ট নয়। চারজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ফেব্রুয়ারিতেই কল্যাণীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। গত কয়েক বছরে মহেশতলা, খাদিকুল বা দত্তপুকুরেও ঘটেছে একই ঘটনা। সেই স্মৃতি এখনও দগদগে। ইতিমধ্যেই বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তৃণমূলের জমানায় এই ধরণের কারখানা বাড়ছে? কেন পুলিশ চুপ করে আছে?





