Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন কি শেষ? কী কী রাস্তা খোলা আছে তাঁর সামনে?
Rahul Gandhi Disqualified: শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আর সাংসদ নন। তাঁর সামনে কী রাস্তা খোলা আছে?
নয়া দিল্লি: শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আর সাংসদ নন। সুরাটের এক আদালত তাঁকে ২০১৯ সালের এক মানহানির মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এরপর কী করবেন রাহুল? আইনজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন, দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সাংসদ থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আবার একাংশের আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাহুলের সামনে কোনও আশার আলোই নেই, তা নয়। তিনি যদি তাঁর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে সংসদের সচিবাচলের এই পদক্ষেপ আটকানো যেতে পারে। রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও, তাঁর আগাম জামিনের আবেদনও মেনে নিয়েছে আদালত। এমনকি, আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁকে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে আবেদন করতে হবে। এর জন্য ৩০ দিন সাজাও স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালতের এই রায়ের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হল।
বস্তুত, ইউপিএ-১ সরকারের আমলে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন সংশোধন করা হয়েছিল। সেই সংশোধিত আইনের ধারায় বলা হয়েছে, কোনও সাংসদ দোষী সাব্যস্ত হলে এবং তাঁর কমপক্ষে দুই বছরের জন্য সাজা হলে, তাঁকে সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। সেই বিধান অনুযায়ীই সুরাটের আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার একদিন পরই লোকসভার সচিবালয় রাহুল গান্ধীকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করল। একই সঙ্গে ওয়ানাড় কেন্দ্রটিও সাংসদ শূন্য বলে ঘোষণা করা হল। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশন এই কেন্দ্রে বিশেষ নির্বাচন ঘোষণা করবে। রাহুল গান্ধীকে তাঁর সরকারি বাংলোটিও ছেড়ে দিতে হতে পারে। এমনকী, তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়েও সমস্যা হতে পারে। উচ্চ আদালতেও তাঁর সাজা বহাল থাকলে, ৬ বছরের জন্য নির্বাচনে লড়তে পারবেন না তিনি।
কংগ্রেস নেতারা অবশ্য রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল করা সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেসের দাবি, কোনও সাংসদকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করার অধিকার একমাত্র রাষ্ট্রপতিরই আছে। বিজেপির অবশ্য দাবি, আইনি প্রক্রিয়াতেই রাহুল গান্ধীকে সাংসদ হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি পরে লোকসভার অধ্যক্ষকে জানানোর কথা। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিবালও জানিয়েছেন, দুই বছরের জেলের সাজা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলেই এই পদ তিনি ফেরত পাবেন, বিষয়টা এত সহজও নয়। তিনি বলেছেন, “আদালত শুধু সাজা স্থগিত করলেই যে রাহুল গান্ধী সাংসদ থাকতে পারবেন তা নয়। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায় খারিজ হতে হবে অথবা স্থগিতাদেশ জারি করতে হবে। একমাত্র সেই ক্ষেত্রেই সাংসদ হিসাবে থাকতে পারবেন তিনি (রাহুল গান্ধী)।”
আপাতত, সুরাট আদালতের রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। উচ্চ আদালত তাঁর সাজা স্থগিত না করলে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।