
মুম্বই: মাস সাতেক আগে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি বিপুল আসনে জিতে সরকার গঠন করেছে। কিন্তু, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, মহারাষ্ট্র নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এই নিয়ে এবার কলম ধরেছেন তিনি। তাঁর নিবন্ধ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আর এই নিবন্ধের পরই রাহুলকে আক্রমণ করে সরব হলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। রাহুলকে জবাব দিতে তিনিও কলম তুলে নেন। যেখানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ভোটারদের রায়কে অস্বীকার করে রাহুল মহারাষ্ট্রের মানুষকে অপমান করেছেন। একইসঙ্গে ফড়ণবীশের কটাক্ষ, বিহার-সহ আসন্ন নির্বাচনগুলিতে সম্ভাব্য হারের অজুহাত খাড়া করছেন তিনি।
শনিবার রাহুলের নিবন্ধ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এক্স হ্যান্ডলেও তা পোস্ট করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। নির্বাচনে ধাপে ধাপে কীভাবে কারচুপি হয়েছে, তা পয়েন্ট করে তুলে ধরেন তিনি। রাহুল লেখেন, “গণতন্ত্রকে রিগিংয়ের ব্লুপ্রিন্ট হল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন।” তিনি অভিযোগ করেন, ভুয়ো ভোটার যোগ করা হয়েছে। ভোটদানের হার বাড়ানো হয়েছে। প্রমাণও লুকানো হয়েছে বলে নিজের নিবন্ধে অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর আরও অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের এই ম্য়াচ ফিক্সিং আসন্ন বিহার নির্বাচনেও করা হবে। রাহুলের অভিযোগ নস্যাৎ করেছে নির্বাচন কমিশন।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার এই আক্রমণের জবাব দিতে কলম ধরেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। নিজের নিবন্ধে ফড়ণবীশ লেখেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নিয়মিত সন্দেহ প্রকাশ করে কোন বিষ ছড়াচ্ছেন তিনি, তা তাঁর ভাবা দরকার। কোন দিশায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটা তাঁর ভাবা দরকার।”
এরপরই মহারাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে রাহুলের আক্রমণের জবাব দিয়ে ফড়ণবীশ লেখেন, “মহারাষ্ট্রের কৃষক, বোন, সাধারণ নাগরিকদের রায়কে যদি এভাবে আপনি অপমান করেন, মহারাষ্ট্রের মানুষ আপনাকে কখনও ক্ষমা করবেন না।” মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাড়ি জোটের পরাজয়ের পিছনে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রারও ভূমিকা রয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে ভুয়ো ভোটার যোগ নিয়েও রাহুলের অভিযোগের জবাব দিলেন ফড়ণবীশ। তিনি বলেন, “২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৬৩ লক্ষ নতুন ভোটার যোগ হয়েছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তা ছিল ৭৫ লক্ষ। আবার ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ১ কোটি নতুন ভোটার যোগ হয়েছিল। ফলে ২০২৪ সালে অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি।”