Rahul Gandhi To Congress Ministers : ‘যে কর্মীরা আপনাদের মন্ত্রী বানিয়েছেন তারাই আপনাদের গদি ছাড়া করতে পারে,’ কংগ্রেস মন্ত্রীদের বার্তা রাহুলের
Rahul Gandhi : রাঁচিতে কংগ্রেসের তিনদিনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল এই অনুষ্ঠানের অন্তিম দিন।'চিন্তন শিবির' এর শেষ দিনে ঝাড়খণ্ড সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাঁচি : রাঁচিতে কংগ্রেসের তিনদিনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল এই অনুষ্ঠানের অন্তিম দিন।’চিন্তন শিবির’ এর শেষ দিনে ঝাড়খণ্ড সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদের তৃণমূল স্তরে কর্মীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে বলেছেন। এতে তাঁরা বুঝতে পারবেন তাঁরাও সরকারের স্টেক হোল্ডার। এর ফলে রাজ্যে সংগঠন দৃঢ় হবে।
গিরিধির মধুবনে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের ৩ দিনের ‘চিন্তন শিবির’ ছিল আজ। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতাদের গান্ধী বলেছেন যে, দলটি ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। এই রাজ্যে যেসব মন্ত্রীরা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করবেন তাঁরা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবেন। রাহুল গান্ধী ভার্চুয়ালি বলেছেন, “আমরা ক্ষমতায় আছি এবং এটা মন্ত্রীদের এবং পিসিসির (প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি) সভাপতির দায়িত্ব যে তাঁরা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। এটা নিশ্চিত করা মন্ত্রীদের দায়িত্ব যে আমাদের ডিসিসি (জেলা) সভাপতি এবং বিসিসি (ব্লক) সভাপতিও তাঁদের সরকারের অংশ বলে মনে করেন।” তিনি আরও বলেছেন, “বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করা মন্ত্রীরা অগ্রহণযোগ্য হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, দলীয় কর্মীরাই মন্ত্রীদের তাদের অফিসে বসিয়েছে এবং তারাই আপনাকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম।”
রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্য তখন সামনে যখন কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ ইতিমধ্যেই সর্বজনবিদিত। গত বছর কংগ্রেসের জি-২৩ (G-23) নেতাদের দলের অন্দরের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হওয়ার ঘটনা দলের চৌহদ্দি পেরিয়ে জাতীয় মাধ্য়মে এসে পৌঁছেছিল। এর মধ্যে বহু নেতা দল ছেড়ে চলেও গিয়েছেন। তাই দলের ভিত্তিপ্রস্তর ধরে রাখতে রাহুল গান্ধীর এই সমন্বয়সাধনকারী বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য ইউনিটের ৩ দিনের ব্রেন স্টর্মিং অধিবেশন ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের নব-নিযুক্ত ইনচার্জ অবিনাশ পাণ্ডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরপিএন সিং কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কংগ্রেসে একটি সংকটজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) জোট সরকারের পতনের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছিল সিংয়ের বিরুদ্ধে। দলের সিনিয়র নেতা এবং বিধায়করা সরকারে নেওয়া ‘একতরফা সিদ্ধান্ত’ সম্পর্কে নেতৃত্বকে সতর্ক করেছেন।
আরও পড়ুন : India’s Foreign Policy : ইউক্রেন সংঘাতের আবহে পরীক্ষার মুখে ভারতের নিরপেক্ষতা, কত বড় ফ্যাক্টর হবে চিন?