Pakistani Spy in Navy Headquarter: সবটা তুলে দিতেন পাকিস্তানের প্রিয়ার হাতেই! নৌসেনার দফতরের অন্দরে তৈরি হয়েছিল বড় চক্র
Pakistani Spy in Navy Headquarter: কিন্তু এত ভাল চাকরি, বেতনও মন্দ নয়। তারপরেও কেন এই ষড়যন্ত্র চক্রে পা দিতে হল বিশালকে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন বিশাল। দিন দিন বাড়ছিল ঋণের বোঝা। তা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতেই এই পথে নেমেছিল সে।

নয়াদিল্লি: তিনি নৌসেনার সদর দফতরে কর্মরত। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির। বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় নৌসেনার সদর দফতরে কর্মরত অসামরিক কর্মীকে গ্রেফতার করল রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তারা জানিয়েছে, এই ব্যক্তি বহুদিন ধরেই সেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর হাতে তুলে দিচ্ছে।
ধৃতের নাম বিশাল যাদব। তিনি হরিয়ানার রেওয়াড়ী জেলার বাসিন্দা। নয়াদিল্লি নৌসেনার সদর দফতরে আপার ডিভিশনাল ক্লার্ক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
রাজস্থান পুলিশের আইজি (সিআইডি নিরাপত্তা) বিষ্ণুকান্ত গুপ্তা জানিয়েছেন, বিশাল ডিরেক্টরেট অব ডকইয়ার্ডের দফতরে কাজ করত। ভিতর ভিতর সে যে এত বড় ষড়যন্ত্র তৈরি করছিল, তা ধারণা করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দারা জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে প্রিয়া শর্মা নামে এক পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে তার বেশ মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তার কাছে টাকার বিনিময়ে একাধিক গোপন তথ্য তুলে দিত।
কিন্তু এত ভাল চাকরি, বেতনও মন্দ নয়। তারপরেও কেন এই ষড়যন্ত্র চক্রে পা দিতে হল বিশালকে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন বিশাল। দিন দিন বাড়ছিল ঋণের বোঝা। তা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতেই এই পথে নেমেছিল সে। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছে, একাধিক অনলাইন গেমে টাকা ডুবিয়েই এই হাল হয়েছিল তার। তখনই আলাপ হয় সেই পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে। তারপর থেকেই হত তথ্য পাচার। বিশালের পকেট ভরত ক্রিপ্টো পেমেন্টের মাধ্যমে।
ইতিমধ্যে বিশালের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাতে ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটের রেকর্ডও।

