গরুর দুধে সোনা থেকে গো-হত্যার কারণে ভূমিকম্প! বিচিত্র পাঠ্যসূচি!

ভোপাল দুর্ঘটনায় (Bhopal Gas leak Incident) যারা রক্ষা পেয়েছিলেন, তার পিছনেও ছিল গরুর অবদান, এমনটাই দাবি করেছেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, "১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। একমাত্র যাঁদের বাড়ির দেওয়ালে গোবরের প্রলেপ ছিল, তাঁরাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন।"

গরুর দুধে সোনা থেকে গো-হত্যার কারণে ভূমিকম্প! বিচিত্র পাঠ্যসূচি!
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 06, 2021 | 7:59 PM

নয়া দিল্লি: খনিজ সম্পদ হোক কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, সমস্ত কিছুর সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে গরু। অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ (Rashtrya Kamdhenu Aayog)-র পাঠ্যসূচিতে। গরুর দুধে সোনা (Gold)-র উপস্থিতিকে যেমন মান্যতা দেওয়া হয়েছে, তেমনই আবার বলা হয়েছে যে ভূমিকম্পের আসল কারণ হল গো-হত্যা (cow slaughtering)।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের পরীক্ষা অনলাইনে হতে চলেছে। দেশের সাধারণ মানুষ ও পড়ুয়াদের মধ্যে দেশি গরু ও তাঁর উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার আগে প্রকাশিত পাঠ্যসূচিতেই উঠে এল এমন বিচিত্র বিষয়গুলি।

গো-কল্যাণে গঠিত জাতীয় কমিটির পাঠ্যসূচিতে বলা হয়েছে, “অ্যাকু্ইস্টিক অ্যানিস্ট্রোপি (Acoustic anisotropy) পাথরের উপর চাপ সৃষ্টি করে। বছরের পর বছর ধরে প্রতিনিয়ত কসাইখানায় যখন হাজার হাজার প্রাণীর হত্যা করা হয়, সেই সময় তাদের করুণ আর্তনাদই ‘বেদনা তরঙ্গ’ রূপে পাথরের উপর আঘাত করে। এরফলেই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।”

ভোপাল দুর্ঘটনায় (Bhopal Gas leak Incident) যারা রক্ষা পেয়েছিলেন, তার পিছনেও ছিল গরুর অবদান, এমনটাই দাবি করেছেন কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, “১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। একমাত্র যাঁদের বাড়ির দেওয়ালে গোবরের প্রলেপ ছিল, তাঁরাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন।”

আরও পড়ুন: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক তালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের, রাজ্যের দায়িত্বে তিন নেতা

তবে শুধু গরুর উপকারিতাই নয়, পাঠ্যসূচিতে দেশি ও বিদেশি গরুর বিভাজনও করা করা হয়েছে। পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, “দেশি গরুরা বিদেশি গরুদের তুলনায় তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ও চালাক। সেই কারণেই দেশী গরু কখনও নোংরা কোনও স্থানে বসে না। অন্যদিকে জার্সি গরু (Jersey Cow)-রা একদিকে যেমন অলস হয়, তেমনই আবার এদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। নিজেদের সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন না রাখার কারণেই জার্সি গরুরা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। সেই তুলনায় দেশি গরুরা নিয়মিত গা চেটে দেহ সাফ রাখে।”

পাঠ্যসূচিতে আরও বলা হয়, “দেশি গরুরদের মধ্যে আবেগ-অনুভূতিও রয়েছে। সে কারণেই দেশি গরুদের সামনে অচেনা কেউ উপস্থিত হলে তাঁরা উঠে দাঁড়ায়, অথচ বিদেশি গরুদের মধ্যে কোনও অনুভূতিই নেই।”

রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের উদ্যোগে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি “কামধেনু গো-বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার” নামক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রাথমিক থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে, বয়স ও শ্রেণী অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিভাগে নাম লিখিয়ে অনলাইনেই পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারবে। অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ার কারণে পরীক্ষার্থীদের কেবল মাল্টিপাল চয়েস প্রশ্ন (MCQ)-ই দেওয়া হবে। যাঁরা এই পরীক্ষায় পাশ করবেন, তাঁদের গো-বিশেষজ্ঞের শংসাপত্রও দেওয়া হবে।

পরীক্ষার ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান ভাল্লাভাই ক্ষত্রিয় জানান, এবার থেকে প্রতিবছরই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশি গরু সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। দুধ দেওয়া ছাড়াও গরুর আর কী কী উপকারিতা রয়েছে, সে বিষয়েও জানতে পারবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ‘অদূরে টিকাকরণ’, শুক্রবার দেশের সর্বত্র ফের ‘ড্রাই রান’!