Ratan Tata: পুলিশের বাইকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে চিনি ঢেলে দিতেন রতন টাটা, কারণটা জানলে অবাক হবেন
Ratan Tata Life Story: এক সময়ে রতন টাটা নিজেই গল্প করেছিলেন যে ছোটবেলায় তিনি পুলিশের বাইকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে চিনি ঢেলে দিয়েছিলেন। কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তার নেপথ্যেও রয়েছে একটা বড় কারণ, যা জানলে তাঁকে স্যালুট করবেন।

নয়া দিল্লি: রতন টাটা। তাঁর নামটাই যথেষ্ট। তিনি শুধু শিল্পপতি ছিলেন না, ছিলেন উদ্যোগপতি। টাটা গ্রুপের কলেবর বৃদ্ধি, উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি সমাজের কল্যাণেও বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি। তার অবদান গুনে শেষ করা যাবে না। তবে জানেন কি রতন টাটা দারুণ সাহসীও ছিলেন? তিনি পুলিশকেও ভয় পাননি, বরং তাদেরই বিপাকে ফেলেছিলেন।
এক সময়ে রতন টাটা নিজেই গল্প করেছিলেন যে ছোটবেলায় তিনি পুলিশের বাইকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে চিনি ঢেলে দিয়েছিলেন। কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তার নেপথ্যেও রয়েছে একটা বড় কারণ, যা জানলে তাঁকে স্যালুট করবেন।
রতন টাটা জানিয়েছিলেন, শৈশবে তিনি বেশ চঞ্চল ছিলেন। তখন তাঁর বয়স ৯ কি ১০। বম্বে হাউসে থাকতেন পরিবারের সঙ্গে। তাঁর বাড়ির কাছেই আজাদ ময়দান ছিল, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা কর্মকাণ্ড হত। রতন টাটা বলেছিলেন, ওই সময়ে তাঁর বয়সী শিশুরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিতে চাইত। তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করত, যেভাবে হোক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাহায্য করতে।
এই সাহায্য করার জন্যই শিশুরা সুযোগ পেলেই ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারদের মোটরবাইকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে চিনি ঢেলে দিত। এতে বাইকের ইঞ্জিন কিছুক্ষণের জন্য জ্যাম হয়ে যেত। ফলে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারদের হাত থেকে পালাতে কিছুটা সময় পেত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।
রতন টাটা একটি ডকুমেন্টারিতে গল্প করেছিলেন, তিনিও ছোটবেলায় ব্রিটিশ পুলিশদের বাইকের ইঞ্জিনে চিনি ঢেলে দিতেন। পুলিশরা তাঁকে ধাওয়াও করতে পারত না বাইক না চলায়। এইভাবেই ব্রিটিশদের কাজে বাধা দিতেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর, ২০২৪ সালে ৯ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রতন টাটা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।





