AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Professor Beaten: কলেজে অধ্যাপকদের ধুন্ধুমার মারপিট, শৃঙ্খলায় জোর পড়তেই কি এমন পরিস্থিতি?

UP Crime: কলেজের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য আফজল আহমেদ হালিম সম্প্রতিই অভিযোগ করেন যে তিনজন অধ্যাপক নিয়মিত দেরি করে আসেন। অধিকাংশ সময় ক্লাসও নেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এই অভিযোগ জমা পড়তেই অভিযুক্ত তিন অধ্যাপক কলেজে তাঁর উপরে চড়াও হন এবং প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করেন।     

Professor Beaten: কলেজে অধ্যাপকদের ধুন্ধুমার মারপিট, শৃঙ্খলায় জোর পড়তেই কি এমন পরিস্থিতি?
মারধরের দৃশ্য। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া।
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 3:04 PM
Share

লখনউ:দীর্ঘদিন ধরে কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। অবসর গ্রহণের পর কলেজ কর্তৃপক্ষে তরফে তাঁকে কলেজের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য বানানো হয়েছিল। তাঁর অন্যতম দায়িত্বই ছিল কলেজে শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে কি না। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই চরম পরিণতি হল অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের। কলেজের অধ্যাপকদের হাতেই বেধড়ক মার খেতে হল শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। সেখানে একটি কলেজের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য আফজল আহমেদ হালিম সম্প্রতিই অভিযোগ করেন যে তিনজন অধ্যাপক নিয়মিত দেরি করে আসেন। অধিকাংশ সময় ক্লাসও নেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এই অভিযোগ জমা পড়তেই অভিযুক্ত তিন অধ্যাপক কলেজে তাঁর উপরে চড়াও হন এবং প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের চমনগঞ্জে। শহরের একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগে অবসর নেন তিনি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফেই তাঁকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য হিসাবে রাখা হয়। বিগত কয়েক মাস ধরে নজর রাখার পর তিনি অভিযোগ করেন, মহম্মদ সাজিদ, মাসুর আহমেদ ও সইদ মাজ় হুসেন নামক তিন অধ্যাপক নিয়মিত দেরি করে আসেন। ক্লাসও নেন না ঠিকভাবে। এই অভিযোগ জমা পড়ার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে ওই তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১০ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষক কলেজে আসেন। সেই সময় অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক অপর এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আচমকাই ওই তিন অধ্যাপক তাঁকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন এবং মারধর করেন। মারধরের ঘটনার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে চমনগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতিই কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়, যেখানে ওই বৃদ্ধ অধ্যাপককে নির্মমভাবে মারধর করতে দেখা যায় অভিযুক্ত তিন অধ্যাপককে। ভিডিয়োটি পুলিশ কমিশনার দেখার পরই তদন্তের নির্দেশ দেখান। বর্তমানে পলাতক অভিযুক্ত তিন অধ্যাপক।