Joshimath Sinking: মাত্র ১২ দিনেই মাটি ধসেছে সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার! জোশীমঠ নিয়ে ভয়ের ছবি দেখাল ISRO

Joshimath Sinking: একের পর এক ভূমিকম্প, ভূমিধস, হড়পা বানের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ। সম্প্রতিই জোশীমঠের বাড়ি ও হোটেলগুলিতে ফাটল দেখা যায়। উপগ্রহ চিত্রে ভূমিধসের চিত্র ধরা পড়ার পরই ৪ হাজারেরও বেশি পরিবারকে  ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Joshimath Sinking: মাত্র ১২ দিনেই মাটি ধসেছে সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার! জোশীমঠ নিয়ে ভয়ের ছবি দেখাল ISRO
জোশীমঠের ভাঙন ধরা হোটেল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 11:44 AM

জোশীমঠ: ভয়ঙ্কর অবস্থা জোশীমঠের (Joshimath)। দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে সেখানের মাটি। ইসরোর রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিগত ১২ দিনে জোশীমঠে ৫.৪ সেন্টিমিটার মাটি বসে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে প্রকাশিক উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে জোশীমঠের মাটি।  জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে গত ৮ জানুয়ারির মধ্যে জোশীমঠের মাটি ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে।

ইসরোর তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাধিক কারণে জোশীমঠের মাটি বসে যাচেছে। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারিতে ভূমিধসের বিষয়টি বাড়তে থাকে। দেখা গিয়েছে, দ্রুতগতিতে মধ্য জোশীমঠের মাটি সরে যাচ্ছে। সেনা হেলিপ্যাড ও মন্দিরের আশেপাশে ব্যাপক পরিমাণে মাটির ধস নামছে। জোশীমঠ-আউলি রোডের কাছে ২১৮০ মিটার উচ্চতা থেকে মাটিতে ফাটল ধরা শুরু হয়েছে।

Land sink

ISRO-র প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র

ইসরোর রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে গত কয়েক মাসে জোশীমঠের ভাঙনের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল। গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস অবধি মাটিতে ৯ সেন্টিমিটার ধস নেমেছিল। সেই তুলনায় গত এক মাসেই ৫.৪ সেন্টিমিটার ধস নেমেছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই জোশীমঠের মাটি আলগা হতে শুরু করেছিল। একের পর এক ভূমিকম্প, ভূমিধস, হড়পা বানের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ। সম্প্রতিই জোশীমঠের বাড়ি ও হোটেলগুলিতে ফাটল দেখা যায়। উপগ্রহ চিত্রে ভূমিধসের চিত্র ধরা পড়ার পরই ৪ হাজারেরও বেশি পরিবারকে  ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জোশীমঠের ৬৭৮টি বাড়ি ও হোটেল ভাঙনের মুখে।

জোশীমঠের বাসিন্দা এই ভাঙনের জন্য নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও অপরিকল্পিত পরিকাঠামো নির্মাণকেই দায়ী করেছেন। বিশেষ করে তপোবনের হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজের জন্য পাহাড়ে ডিনামাইট দিয়ে বিস্ফোরণ ও ড্রিলিংকে দোষারোপ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরাও অবৈধ নির্মাণকাজকেই হিসাব করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জোশীমঠে যান। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি কমিটি  তৈরি করার কথাও ঘোষণা করেন।