Participation of women in the country’s workforce: কর্মক্ষেত্রে বাড়ছে মহিলাদের যোগদান, তথ্য তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Participation of women in the country's workforce: কর্মক্ষেত্রে মহিলারা যাতে সমান সুযোগ পান, তার জন্য শ্রম আইনে একাধিক ধারা যোগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে জানান, সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি, সমান মজুরির মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লি: দেশে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদান ক্রমশ বাড়ছে। গত ৬ বছরে তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে একথা বললেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে।
মহিলাদের কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তারই জবাব দিতে গিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট শ্রমজীবী মানুষের হার ক্রমশ বাড়ছে। এবং দেশের কর্মশক্তিতে ১৫ বছর এবং তার বেশি বয়সী মহিলাদের যোগদান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে শ্রমজীবী মানুষের হার ৪০.৩ শতাংশ। আর মোট কর্মশক্তিতে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার ৪১.৭ শতাংশ। সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে শ্রমজীবী মানুষের হার ছিল ২২ শতাংশ। এবং কর্মশক্তিতে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার ছিল ২৩.৩ শতাংশ।
দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা, ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস প্রজেক্ট, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়েও নানা পদক্ষেপ করছে। রাজ্যসভায় সেইসব পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন শোভা করন্দলাজে। তিনি বলেন, “কর্মসংস্থান বাড়ানোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে দেশের কর্মশক্তিতে মহিলাদের যোগদান বাড়াতে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে।” মহিলারা যাতে সমান সুযোগ পান, তার জন্য শ্রম আইনে একাধিক ধারা যোগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি, সমান মজুরির মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শোভো করন্দলাজে বলেন, দেশে মোট কর্মশক্তি ও কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নানা প্রকল্পও শুরু করেছে কেন্দ্র।
এই খবরটিও পড়ুন
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুযোগ-সুবিধার উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কর্মরত মহিলাদের জন্য হস্টেল নির্মাণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। একইসঙ্গে কর্মরত মহিলাদের শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্রেচ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”