Crime: বাংলার মেয়ে উৎপলার মুণ্ডু পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকে!
Murder: শুক্রবার ভিরার এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে এক মহিলার খুলি উদ্ধার হয়। পাশে একটি ছোট গহনার ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গহনার দোকানের ঠিকানা লেখা ছিল। ব্যাগে থাকা ফোন নম্বর দিয়েই যোগাযোগ করে পুলিশ।

মুম্বই: পরিত্যক্ত ব্যাগ দেখলেই যেন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ট্রলি ব্যাগ থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এবার মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকেও কাটা মুণ্ড উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে খুলি উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের খোঁজ এখনও মেলেনি। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুম্বই সংলগ্ন এলাকা থেকে হরিশ হিপ্পারগি (৪৯)-কে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্ত্রীকে খুন করার অপরাধে। অভিযোগ, দুই মাস আগে স্ত্রী উৎপলা (৫১)-কে খুন করেন ওই ব্যক্তি। ওই মহিলা আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভিরার এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে এক মহিলার খুলি উদ্ধার হয়। পাশে একটি ছোট গহনার ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গহনার দোকানের ঠিকানা লেখা ছিল। ব্যাগে থাকা ফোন নম্বর দিয়েই যোগাযোগ করে পুলিশ। দোকান থেকে জানানো হয়, ওই মহিলা একজন গ্রাহক। তাঁর নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া হয় বিল থেকে। পুলিশ সেই নম্বরে খোঁজ চালিয়ে জানতে পারে যে বিগত দুই মাস ধরে নম্বরটি বন্ধ।
এরপরই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। খুঁজতে খুঁজতে অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছয়। জেরায় ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন যে তিনিই দুই মাস আগে স্ত্রীকে খুন করেছেন। অভিযুক্ত জানিয়েছেন, মৃত মহিলার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। প্রথম পক্ষে তাঁর ২২ বছরের ছেলে রয়েছে। ওই ছেলেকে নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।
গত ৮ জানুয়ারি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে, অভিযুক্ত স্ত্রীর শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপর স্ত্রীর দেহ নিয়ে ভিরারের এক নির্জন জায়গায় যান। সেখানে দাঁ দিয়ে ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেন। কাটা মুণ্ড ব্যাগ ভরে দরগার কাছে এক নির্জন জায়গা. ফেলে দেন। ধড়ের অংশ খালে ফেলে দেন।
বাড়ি ফিরে সৎ ছেলেকে বলেন যে তাঁর মা পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছেন। এদিকে, নিজের ফোন নম্বর ও ঠিকানাও বদলে ফেলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতেই ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। মহিলার ধড় এখনও পাওয়া যায়নি।





