Nagaland Civilians Death: জওয়ানদের বয়ান নিতে সিটের আধিকারিকদের অনুমতি ভারতীয় সেনার

Nagaland Firing: সিটের আধিকারিকদের তদন্তের প্রয়োজনে ঘটনায় জড়িত জওয়ান ও আধিকারিকদের বয়ান নেওয়ার অনুমতি দিল ভারতীয় সেনা। সিটের আধিকারিকরা প্রয়োজনে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করতে পারবেন বলেও অনুমতি দিয়েছে সেনা।

Nagaland Civilians Death: জওয়ানদের বয়ান নিতে সিটের আধিকারিকদের অনুমতি ভারতীয় সেনার
ঠিক কী ঘটেছিল নাগাল্যান্ডে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 4:30 PM

কোহিমা : নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মন জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)। এবার সেই সিটের আধিকারিকদের তদন্তের প্রয়োজনে ঘটনায় জড়িত জওয়ান ও আধিকারিকদের বয়ান নেওয়ার অনুমতি দিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সিটের আধিকারিকরা প্রয়োজনে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করতে পারবেন বলেও অনুমতি দিয়েছে সেনা। এমনটাই জানা গিয়েছে নাগাল্যান্ডের পুলিশ সূত্রে।

সেনাকর্মীদের বয়ান নেবেন সিটের আধিকারিকরা

নাগাল্যান্ডের বিশেষ তদন্তকারী দল সম্ভবত চলতি সপ্তাহে ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের সেনাকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সিটের আধিকারিকরা সেনাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন নাকি তাঁরা শুধুমাত্র আগে থেকে প্রস্তুত সেনাকর্মীদের বিবৃতি জমা দেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

শুরুতে আট সদস্যের সিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে তদন্তের আরও গতি বাড়ানোর জন্য নাগাল্যান্ডের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য সংখ্যা আট থেকে বাড়িয়ে ২২ জন আধিকারিক করা হয়েছে। বর্ধিত দলে পাঁচজন আইপিএস আধিকারিককে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, তদন্তের সুবিধার জন্য এই বিশেষ তদন্তকারী দলকে সাতটি পৃথক দলে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।

আফস্পার রক্ষাকবচ কাটিয়ে কীভাবে হবে তদন্ত?

নাগাল্যান্ড সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন, বা আফস্পার অধীনে থাকার জন্য রাজ্যস্তরের সিটের আধিকারিকদের তদন্ত কীভাবে এগিয়ে যাবে তাও স্পষ্ট নয়। কারণ, এই আফস্পা আইন বাহিনীর জন্য অনেকটা আইনি রক্ষাকবচের মতো কাজ করে। এদিকে সেনা বাহিনীর কোর্ট অফ ইনকোয়ারির একটি পৃথক সেনা দল ইতিমধ্যেই নাগাল্যান্ডে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছে।

আফস্পা আইন সশস্ত্র বাহিনীকে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেয়। এই আইনের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী যে পদক্ষেপ করে, তার জন্য নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের কোনওরকম দায়বদ্ধতা থাকে না। আইনি রক্ষাকবচ থাকে তাঁদের জন্য। আর এই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক এবং সমালোচনা।

আফস্পার আওতায়, “সশস্ত্র বাহিনী” নিছক সন্দেহের ভিত্তিতে একটি বাড়ি উড়িয়ে দিতে পারে কিংবা কাউকে গুলি করে হত্যা করতে পারে। একজন নন-কমিশনড অফিসার বা সমতুল্য পদমর্যাদার এবং তার উপরের পদমর্যাদার যে কেউ সন্দেহের ভিত্তিতে, ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে বা হত্যা করতে বলপ্রয়োগ করতে পারেন। অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন যে কিছু বহনকারীর উপর গুলি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে আফস্পায়।

আরও পড়ুন : PM Modi in Uttarakhand: একাধিক নতুন প্রকল্প উদ্বোধনে বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

আরও পড়ুন Petrol Diesel Price: অপরিশোধিত তেলের দামে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি, জানুন দেশে পেট্রোল ডিজেলের দাম

আরও পড়ুন Covid vaccine: ওমিক্রন আপনাকে কতটা কাবু করবে তা নির্ধারণ করবে কোভিড টিকার ডোজ! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?