AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: ‘দিন চৌঠা অঘ্রাণ, বয়স ৬৬, সালটা হিসাব করে নিন’, অনুব্রতর জন্মদিন উদ্ধার করতেই হিমশিম খাচ্ছে ED!

Anubrata Mondal: ইডির আধিকারিকরা যখন অনুব্রত মণ্ডলের কাছে তাঁর জন্মতারিখ জানতে চাইলেন, তখন জিভ কেটে তাঁর উত্তর, "এই রে, মনে নেই তো"।

Anubrata Mondal: 'দিন চৌঠা অঘ্রাণ, বয়স ৬৬, সালটা হিসাব করে নিন', অনুব্রতর জন্মদিন উদ্ধার করতেই হিমশিম খাচ্ছে ED!
আদালতে অনুব্রত মণ্ডল। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 11:18 AM
Share

নয়া দিল্লি: গরু পাচার মামলায় দিল্লি যেতেই চরম চাপে পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নবাণে এতটাই মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে যে নিজের জন্মসালই ভুলে গিয়েছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। সেই কারণেই আদালত চত্বরে বসে ইডির আধিকারিকরা (ED Official) যখন অনুব্রত মণ্ডলের কাছে তাঁর জন্মতারিখ জানতে চাইলেন, তখন জিভ কেটে তাঁর উত্তর, “এই রে, মনে নেই তো”। পরে অবশ্য তিনি উত্তর দিলেন, কিন্তু তা উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর জন্ম তারিখ জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, “অঘ্রাণ, চৌঠা অঘ্রাণ।”

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গরু পাচার মামলায়  (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। আদালতে পেশ করার আগে যখন ইডি আধিকারিকরা কাগজ-পত্র ঠিক করছিলেন, সেই সময়ই এক ইডি আধিকারিক বেঞ্চে বসে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন, “আপনার জন্মতারিখ কত?”। সঙ্গে সঙ্গে জিভ কেটে নীরভূমের তৃণমূল নেতা বলেন, “তা তো মনে নেই”। এরপর কিছুক্ষণ ভাবনাচিন্তা করে তিনি বলেন, “অঘ্রাণ, চৌঠা অঘ্রাণ”।

বাংলায় জন্মতারিখ শুনে কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলের আধার কার্ড খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়ে তিনি ফের প্রশ্ন করেন, “জন্মসাল মনে আছে?”। জবাবে নির্লীপ্ত মুখেই অনুব্রত জবাব দেন, “আমার বয়স ৬৬ বছর। সালটা হিসাব করে নিন।”

সূত্র মারফত আরও খবর, নিজের জন্মতারিখ-মাস ভুলে গেলেও অসুস্থতার কথা নিজেই মনে করিয়েস দেন বীরভূমের নেতা। নিজের আইনজীবীকে ডেকে জানতে চান, তিহাড় জেলে অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হবে তো? সঙ্গে আনা ব্যাগগুলো কোথায় থাকবে? তাঁর আইনজীবী আশ্বস্ত করে বলেন, “প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই জেল থেকে অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও ওষুধ দেওয়া হবে। যদি জেলে সঠিকভাবে ওষুধ ও চিকিৎসা না পান, তবে জানালে আদালতের তরফে অনুমতি নিয়ে সেই ওষুধের ব্যবস্থা করা হবে।”