বন্দে ভারতের ‘ডবল’ স্পিডে ছুটবে এই ট্রেন, বড় খবর দিলেন রেলমন্ত্রীবন্দে ভারতের ‘ডবল’ স্পিডে ছুটবে এই ট্রেন, বড় খবর দিলেন রেলমন্ত্রী
Bullet Train: বন্দে ভারতের গতি হতে পারে সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত। তার থেকে অনেক বেশি গতিতে এবার ছুটবে ট্রেন। শুরু হয়েছে সেই প্রস্তুতি। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে শুরু হয়েছে সেই ট্রেন সেট তৈরির কাজ।
নয়া দিল্লি: কার্যত প্রতিনিয়ত গতি বাড়ছে ট্রেনের। একসময় রাজধানী, শতাব্দীই ছিল সবথেকে দ্রুতগতির ট্রেন। আর এখন এসেছে বন্দে ভারত। ভারতের রেল ট্র্যাকে চলছে সেমি হাইস্পিড ট্রেন। বুলেট ট্রেনও চলার অপেক্ষায়। তৈরি হচ্ছে উপযুক্ত রেলপথ। আর এবার গতি আরও বাড়ানোর কথা জানালেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বন্দে ভারতের গতি হতে পারে সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত। তার থেকে অনেক বেশি গতিতে এবার ছুটবে ট্রেন। শুরু হয়েছে সেই প্রস্তুতি। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে শুরু হয়েছে সেই ট্রেন সেট তৈরির কাজ। ২৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটবে সেই ট্রেন। অর্থাৎ বন্দে ভারতের প্রায় দ্বিগুণ বেগে ট্রেন ছুটবে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে বন্দে ভারত তৈরি করে সাফল্য পেয়েছে রেল। এবার আরও উচ্চগতির ট্রেন তৈরি হচ্ছে বলে লোকসভায় এক লিখিত জবাবে জানিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সুধীর গুপ্তা ও অনন্ত নায়ক। উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, প্রতিটি গাড়ি তৈরির খরচ পড়ছে ২৮ কোটি টাকা। তিনি আরও জানিয়েছেন, উচ্চগতির ট্রেনে অনেক জটিল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে এয়ারটাইট কার বডি, অ্যারোডাইনামিকের বিষয়েও নজর দিতে হয়। ট্রেনের ওজন কত হচ্ছে, গরম হয়ে যাচ্ছে কি না, ভেন্টিলেশন বা হাওয়া চলাচল ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না, এয়ার কন্ডিশন কীভাবে কাজ করছে- সবটাই নজরে রাখতে হয়।
একইসঙ্গে মুম্বই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল নিয়েও আপডেট জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সেই প্রজেক্টের জন্য আর্থিক সহায়তা আসছে জাপান থেকে। সেই প্রজেক্টের কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। এছাড়া সমুদ্রের গভীরে টানেল তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এই প্রজেক্টের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। থাকবে মোট ১২টি স্টেশন। থানে, বিরার, বইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাত, ভারুচ, ভদোদরা, আনন্দ, আমেদাবাদ ও সবরমতীতে থামবে সেই ট্রেন।