Jharkhand School : ‘নম্বর কম দেওয়া হয়েছে ‘, শিক্ষককে গাছে বেঁধে পেটাল নবম ফেল পড়ুয়ারা
Jharkhand School : পরীক্ষায় কম নম্বর দিয়েছেন শিক্ষক। এই অভিযোগ করে ঝাড়খণ্ডের এক স্কুলের শিক্ষককে বেধড়ক মারল পড়ুয়ারা।
রাঁচি : অঙ্কে মিলেছে কম নম্বর। নবম শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করেছে ১১ জন শিক্ষার্থী। ছাত্রদের অভিযোগ, অঙ্কে কম নম্বর দিয়েছে শিক্ষক। আর সেই রেজাল্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন স্কুলের এক কর্মী। অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছে তাই উভয়ই ‘দোষী’। এবার পরীক্ষায় অসফল হওয়ার বদলা নেওয়া হল শিক্ষক ও স্কুলের সেই কর্মীর উপর। তাঁদের গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারল শিক্ষার্থীরা। ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার একটি সরকারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে সোমবার।
শনিবার ঝাড়খণ্ডের অ্য়াকাডেমিক কাউন্সিলের (JAC) তরফে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, গোপিকান্দার পুলিশ স্টেশন এলাকায় সরকার পরিচালিত এক তফসিলি আবাসিক স্কুলের নবম শ্রেণির ৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১১ জন ফেল করেছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় স্কুলের তরফে তাদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই নবম শ্রেণিতে তারা অকৃতকার্য হয়েছে বলে উল্লেখ করে তারা। এই অভিযোগ করে স্কুলের শিক্ষক ও এক কর্মীর উপর বদলার জন্য চড়াও হয় তারা। জানা গিয়েছে, সুমন কুমার নামের অঙ্কের এক শিক্ষক ও সেই স্কুলের কর্মী সোনেরাম চাউড়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারে পড়ুয়ারা।
তবে এই ঘটনায় স্কুল বা আক্রান্ত শিক্ষকের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। গোপিকান্দার পুলিশ স্টেশনের ইন-চার্জ নিত্যানন্দ ভোক্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। এই ঘটনা যাচাই করে আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা সেই কথা খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন যে, এর ফলে শিক্ষার্থীদের কেরিয়ারে প্রভাব পড়তে পারে।’ এই ঘটনার পর গোপিকান্দার বিডিও অনন্ত ঝা এই ঘটনার খবর পেয়ে স্কুল যান। তিনি জানিয়েছেন, শান্তি বজায় রাখার জন্য দু’দিনের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে।