Sunita Williams: টানা চলল পুজো, ফাটল বাজি! সুনীতার ‘ঘরে ফেরায়’ উৎসবের আবহ ভারতে ফেলে যাওয়া পৈতৃক ভিটেতে
Sunita Williams: জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে ফিরলেও, এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না সুনীতাদের। আগামী ৪৫ দিন তাদের রাখা হবে রিহ্যাব সেন্টারে। এত দিন যাবৎ বিনা মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে তাদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন হয়েছে। শরীরও ভেঙেছে আগের তুলনায়।

আহমেদাবাদ: ন’মাসের উদ্বেগ, তারপর ১৭ ঘণ্টার টানা অভিযান। অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা। বুধবার ভোররাতে ফ্লরিডার উপকূলে নামল মাস্কের পাঠানো ড্রাগনযান। আর তাতেই সওয়ার করে ‘আকাশ-কন্যা’ নামলেন ধরিত্রীতে। ফিরলেন বুচ উইলমোরও।
জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে ফিরলেও, এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না সুনীতাদের। আগামী ৪৫ দিন তাদের রাখা হবে রিহ্যাব সেন্টারে। এত দিন যাবৎ বিনা মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে তাদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন হয়েছে। শরীরও ভেঙেছে আগের তুলনায়। তাই আগামী কয়েক দিন চিকিৎসা চলার পরই সুনীতাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেবে NASA।
উল্লেখ্য, সুনীতার পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উৎসবে আবহ চারপাশে। খুশি আমেরিকা, উৎফুল্ল ভারতও। যতই দিন শেষে সে এই দেশেরই মেয়ে। তাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চরের ঘরে ফেরা নিয়ে আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক ভিটের লোকেরাও।
বুধবার ভারতীয় সময় ধরে যখন ফ্লরিডার উপকূলে নামলেন সুনীতা। তার ঘণ্টাখানেক পরেই গুজরাটের মেহসান জেলার ঝুলসান গ্রামে লাগল উৎসবের আমেজ। সুনীতার জন্ম আমেরিকায় হলেও, এই গ্রামেই বড় হয়েছিলেন তাঁর বাবা দীপক পান্ডে। সেই সূত্র ধরেই বলা যেতে পারে, সুনীতা কার্যত এই গ্রামেরই মেয়ে। আর গ্রামের মেয়ে গগন পথ পেরিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছে, তাতে তো তাদের খুশি হওয়ারই কথা।
Celebrations in Sunita Williams’ native village Sunita Williams, who was stuck in space for 9 months, has returned safely home. Celebrations are rife in Sunita’s native village Jhulasan (Gujarat) to celebrate this. Sunita’s father, Dr. Deepak Pandya, was from this village and had… pic.twitter.com/tHiKrXqPAo
— Nagar Mal Jangirpura (@jangirpura_n) March 19, 2025
এমনকি, সুনীতা যখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ ঘাঁটি (ISS) থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেন, সেই সময় থেকেই এই ঝুলসান গ্রামের প্রধান মন্দিরে শুরু হয়ে যায় প্রার্থনাপর্ব। সুনীতার নিরাপদে ঘরে ফেরার প্রার্থনায় গ্রামের মন্দিরে চলে পুজো ও যজ্ঞপর্ব। আজ যখন অবশেষে ঘরে ফিরল সুনীতা। সেই সময় সুদূর আমেরিকার মধ্য়ে তৈরি হওয়া আনন্দের রেশ ছুঁয়ে গেল এই গুজরাটের ছোট্ট গ্রামটিতেও। ফাটল বাজি, আনন্দে উত্তাল নাচ সাধারণের।

